আজ বুধবার ভোরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাচ্চু প্রধান নামের যে ব্যক্তি মারা গেছেন তিনি পেট্রোল বোমার আঘাতে নয় বরং গ্যাসের চুলায় আগুন পোহাতে যেয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তার পারিবারিক সূত্র এবং চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মো. আমির জাফর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত বাচ্চু প্রধানের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার ঢাঁকিরগাঁও গ্রামে। এই গ্রামটি মতলব পৌরসভার অন্তর্ভূক্ত। নিহত বাচ্চু প্রধানের বয়স ৫৫ বছর। তিনি চার মেয়ের জনক। পেশায় ছিলেন কৃষক। গত ২০ বছর ধরে তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭ টার দিকে তিনি তার বাড়ির রান্নাঘরের গ্যাসের চুলার উপর আগুন পোহাচ্ছিলেন। এসময় তার শরীরে আগুন লেগে গেলে তিনি গুরুতর আহত হন। সাথে সাথে তাকে মতলব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসার পর পরই তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
রাতেই তাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকা নেবার সময় আত্নীয়-স্বজনদের মধ্যে কয়েকজন পরামর্শ দেয়, সে হরতালে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ফলে অগ্নিদগ্ধ হয়েছে বলে প্রচার করতে। তাহলে ভালো চিকিৎসা মিলবে। সে মতে তার নিকটজনরা তাকে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তির সময় চিকিৎসকদের জানায়, সে হরতাল সমর্থকদের নিক্ষিপ্ত পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ণ ইউনিটে তাকে সে হিসেবেই ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করা অবস্থায় আজ বুধবার ভোরে সে মারা যায়। তার মৃত্যুর পর জাতীয় বিভিন্ন সম্প্রচার মাধ্যমে সে পেট্রোল বোমার আঘাতে দগ্ধ হয়ে মারা গেছে বলে প্রচার করলে চাঁদপুরের পুলিশ প্রশাসন এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক খোঁজ খবর নেয় শুরু করেন। পুলিশ সুপার আমির জাফরের নির্দেশে মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঢাকা মেডিক্যালে যান এবং ওই থানার তদন্ত বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মতলবের ঢাঁকিরগাঁও গ্রামে নিহতের বাড়িতে যেয়ে আসল তথ্য বের করেন।
শিরোনাম:
সোমবার , ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৫ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।