স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুরের জেলার অধিকাংশ হোমিওপ্যাথি ডাক্তারদের ড্রাগ লাইসেন্স,রেজিষ্ট্রেশান সনদ ও টিন সার্টিফিকেট নাই। কিন্তু চাঁদপুরে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে এসব অবৈধ ভুয়া ডাক্তাররা।নীরিহ রোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাক্ষ লাক্ষ টাকা। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে ।
জানা যায়,চাঁদপুর বাসষ্টেশন্থ ফয়শাল শপিং কমপ্লেক্্র এর নীচ তলায় জান্নাত হোমিও ইন্টারন্যাশনাল ক্লিনিক ড্রাগ লাইসেন্স,রেজিষ্ট্রেশান সনদ ও টিন সার্টিফিকেট ছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে ভুয়া ডাক্তার শরীফ মোঃ নূরুল আমীন।তার চিকিৎসা সেবা চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র না থাকার কারনে গত ১১ জানুয়ারী চাঁদপুরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ সাদিদ ও রাসেদ কামাল এর যৌথ অভিযানে জান্নাত হোমিও ইন্টারন্যাশনাল ক্লিনিক ও ভুয়া ডাক্তার শরীফ মোঃ নূরুল আমীনের চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেদেন।
একটি সূত্র জানা গেছে, ভুয়া ডাক্তার শরীফ মোঃ নূরুল আমীন রোগীদের সঙ্গে বিভিন্ন রকম প্রতারনা করে আসছে,পাইলস,টিউমার,নাকে পলিপাস ৩দিনে ভালো করেদিবেন বলে ১০-২০ হাজার টাকা চুক্তি নিয়ে চিকিৎসা করেন,এতে রোগীদের রোগতো ভালো হয় না বরং রোগ বৃদ্ধি পায়।আর তার এ সব রোগী সংগ্রহের জন্য এলাকা ভিত্তিক দালাল নিয়েগ করে রেখেছেন,যে দালাল রোগী নিয়ে আসে তাকে ৪০% টাকা দিয়ে দেয়।
বেশ কিছু মহিলা দালাল আছে যারা মহিলা রোগী সংগ্রহ করে, বিশেষ করে প্রবাসে স্বামী থাকে এমন মহিলা রোগী সংগ্রহ করে থাকে যাতে তাদের কাছ থেকে টাকা বেশী করে নেওয়া যায়, এতে ডাক্তার ও দালাল উভয়েরই লাভ বেশী।
জান্নাত হোমিও ইন্টারন্যাশনাল ক্লিনিক এর বিজ্ঞাপন চাঁদপুরের ক্যাবল নেটওয়্যার্ক টিভি চ্যানেলে দিন রাত ২৪ ঘন্টা প্রচার করে থাকে,এ বিজ্ঞাপন দেখে সরলমনা রোগীরা দ্রুত রোগ মুক্তির জন্য ভুয়া ডাক্তার শরীফ মোঃ নূরুল আমীন এর স্বরনাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নেয়।মহিলা ডাক্তার সহকারী দ্বারা মহিলাদের চিকিৎসা করা হয় বলে প্রচার করে কিন্তু যে মহিলা তার প্রতিষ্ঠানে আছে সে তার ক্লিনিক ছাড় মোজা করে এবং চা তৈরী করে ।সে কোনো মহিলা রোগীর চিকিৎসা করে না।সকল রোগীর চিকিৎসা ডাক্তার নিজেই করেন এটাও তার প্রতারনা মহিলা রোগীদেরকে আকৃষ্ট করার কারন অনেক মহিলা আছে মহিলা ডাক্তার ছাড়া চিকিৎসা করতে চান না, তাই আয়া হিসেবে মহিলাকে রেখে ডাক্তার সহকারী বলে প্রতারনা করতেছে।
তাই চাঁদপুরের প্রকৃত হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকরা সাধারন মানুষের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখ মুখি হতে হয়।
তাই চাঁদপুরবাসীর প্রশাসনের নিকট আবেদন সকল হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক ও চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ভ্রাম্যমান আদালত দ্বারা যাচাই করা হোক,যে সব চিকিৎসক ও চিকিৎসা কেন্দ্র কাগজ পত্র দেখাতে না পারে তাদের প্রতিষ্টান বন্ধ করে দিলে চাঁদপুরবাসী চিকিৎসা নামে প্রতারনার শিকার হবে না।