রফিকুল ইসলাম বাবু ঃ
চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে আগাম ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। চাঁদপুরের সবচে বড় ঈদের জামায়াত সকাল ১০টায় সাদ্রা ফাজিল মাদ্রসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াতে ইমাতি করেন মাওলানা আরিফ চৌধুরি সাদ্রা দরবার শরীফের তৎকালীন পীর মাও. ইসহাক আরব দেশসমূহের সাথে মিল রেখে আগাম রোজা রাখাসহ দুই উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালনের নিয়ম চালু করেন। হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা গ্রামে ১৯২৮ সাল থেকে একদিন আগে এই প্রথা চালু করলেও এখন লক্ষাধিক মানুষ দেশের নিয়মের বাইরে অর্থাৎ একদিন আগে ঈদ উদ্যাপন করছেন। দীর্ঘ ৮৯ বছরেও দেশের মানুষের দু’দিন ঈদ উদযাপনের কোন সমাধান হয়নি। ১৯২৮ সালে হাজীগঞ্জ রামচন্দ্রপুর মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইছহাক খান আরব দেশসমূহের সাথে সঙ্গতি রেখে ঈদ উদ্যাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু স্থানীয় গ্রামবাসী অসহযোগিতা করলে সে উদ্যোগ ভেস্তে যায়। দেশের সরকারি নিয়মের বাইরে একদিন আগে ঈদ পালনের উদ্যোগ গ্রহনের কারনে সে সময় মাওলানা খানকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।