চাঁদপুর: সৌদি আরবসহ আরব দেশ সমূহের সঙ্গে মিল রেখে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) থেকে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে পবিত্র মাহে রমজান মাসের রোজা শুরু হচ্ছে। জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের অনুসারীরা এভাবে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে আগাম রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উদযাপন করেন।
এই মতের অনুসারী মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রা.) এর ছেলে পীরজাদা ও মতলব নোওহাটা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানি ফোকাস মোহনাকে বলেন, আরবি-রীতি অনুযায়ী হানাফি মাজহাবের অনুসারীরা ৩০ শাবান শেষ হওয়ার পর পবিত্র রোজা পালন করবেন। এটাই নিয়ম। সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় এই নিয়মে রোজা ও ঈদ উদযাপন করা হয়।
তিনি বলেন, আজ সোমববার (১২ এপ্রিল) রাতে এশার নামাজের পর তারাবি আদায় করা হয়েছে। ভোর রাতে সেহরি খাওয়ার মধ্য দিয়ে পবিত্র রোজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯২৮ সাল থেকে এই দরবার শরীফের প্রথম পীর মাওলানা ইসহাক (রা.) এই দেশে চন্দ্রমাস হিসেব করে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র রোজা পালন এবং সেই হিসেবে দুটি ঈদ উদযাপন শুরু করেন। এরপর তার অনুসারীরা এই ধারাবাহিকতা মেনে চলেছেন।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, মতলব উত্তর এবং শাহরাস্তি উপজেলার প্রায় ৪০টি গ্রামের বাসিন্দারা সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ইদ পালন করেন।
আগাম রোজা শুরু হওয়া গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে-হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলীপুর, বলাখাল, মনিহার, জাক্নি, প্রতাপ পুর, বাসারা। ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভূলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলী, মুন্সিরহাঁট, মূলপাড়া, বদরপর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, কাইতপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর। মতলব উত্তর উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং শাহরাস্তি ও কচুয়া উপজেলার কয়েকটি গ্রামের অংশবিশেষ।
চাঁদপুরনিউজ/এমএমএ/