রফিকুল ইসলাম বাবু, ।
বুধবার চাঁদপুরের ৫টি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছে। এর মধ্যে ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র পদে উচ্চ আদালতের নির্দেশে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী রফিকুল আলম জর্জ। এছাড়া মতলব পৌরসভায় আ’লীগের প্রার্থী আওলাদ হোসেন লিটন ২৩ হাজার ৯শ’ ৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এনামুল হক বাদল পেয়েছেন ৭ হাজার ৬শ’ ৮৫। ফরিদগঞ্জে আ’লীগের মাহফুজুল হক ৬ হাজার ৪শ’ ২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির হারুনুর রশিদ পেয়েছেন ৪ হাজার ৯ শ’ ১০ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী মঞ্জিল হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ৭শ’ ৯০ ভোট। হাজীগঞ্জে আ’লীগের মাহবুবুল আলম লিপন ১২ হাজার ৯শ’ ৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আব্দুল মান্নান খান বাচ্চু পেয়েছেন ১২ হাজার ১শ’ ৭২ ভোট। কচুয়ায় আ’লীগের নাজমুল আলম স্বপন ১০ হাজার ৭শ’ ৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির হুমায়ুন কবির প্রধান পেয়েছেন ১ হাজার ৭৫ ভোট। চাঁদপুরের ৫টি পৌরসভায় বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। কচুয়ায় বিএনপি প্রার্থী হুমায়ুন কবির প্রধান ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করে পুনঃনির্বাচনের দাবি করেন। এছাড়া সংঘর্ষ ও ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, হাজীগঞ্জ ও কচুয়া পৌরসভায় সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশত লোক আহত হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। এসময় ১জন গুলিবিদ্ধ হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় মতলব পৌরসভায় মুন্সিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বন্ধ করা হয়। চাঁদপুরের ৪টি পৌরসভার বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা অভিযোগ করেন তাদের সমর্থিতদের ভোট প্রদানে বাধা দেয়া হয়। ভোট কেন্দ্র থেকে সরকার সমর্থিতরা তাদের এজেন্টদের বের করে দিয়ে ব্যালট পেপারে সীল মারে।
অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।