দেশের বিভিন্ন পৌরসভার ন্যায় চাঁদপুরের ৬টি পৌরসভার মেয়াদকাল শেষ পর্যায়ে হওয়ায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) চাঁদপুরের কচুয়া, শাহরাস্তি, হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, মতলব ও ছেঙ্গারচর পৌরসভা নির্বাচন করার সিদ্ধন্তে উপনীত হয়েছে। সে মতে নির্বাচন কমিশন আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ইসি সচিব মোঃ আলমগীর এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে নভেম্বরের শেষ অথবা ডিসেম্বরের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় সপ্তাহে পৌরসভাগুলোয় একযোগে ভোটগ্রহণ করার। কেননা ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সর্বশেষ একযোগে সাধারণ নির্বাচন হয়েছিলো এই স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে। এ ক্ষেত্রে শপথ হয়েছিলো জানুয়ারিতে। সকল নির্বাচনের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হয়। কিন্তু পৌরসভায় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হয়। সেই হিসেবে আমাদের নভেম্বরের শেষ অথবা ডিসেম্বর প্রথম সপ্তাহে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করতে হবে।
তিনি বলেন, এমন পরিকল্পনা নিয়েই আমরা চিন্তা করছি। তবে করোনা পরিস্থিতি যদি বর্তমানের চেয়ে ব্যাপক আকার ধারণ না করে, তবেই এই পরিকল্পনা কার্যকর করা যাবে। অন্যথায় উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সর্বশেষ দেশের পৌরসভাগুলো একযোগে ভোটগ্রহণ হয়েছিলো ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর। আর নির্বাচিত মেয়রগণ শপথ নিয়ে প্রথম সভা করেছিলেন ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে। আইন অনুযায়ী নির্বাচিত পৌরসভার মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। আর ভোট করতে হয় সময় শেষ হওয়ার আগে নব্বই দিনের মধ্যে। এক্ষেত্রে ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে আগের ৯০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশে পৌরসভা রয়েছে ৩২৮টি। এরমধ্যে নির্বাচনের উপযোগী রয়েছে ২৫৬টি। তবে এই সংখ্যা কমতে বা বাড়তে পারে। কেননা মামলাসহ আইনি জটিলতার কারণে সংখ্যায় কিছুটা এদিক-সেদিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
দলীয়ভাবে পৌর মেয়র পদে নির্বাচন না হওয়া নিয়ে গুঞ্জনের বিষয়টি নিয়ে ইসি সচিব মোঃ আলমগীর বলেন, স্থানীয় সরকারগুলোর প্রধানদের পদে দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ করার আইন রয়েছে। এটা আগেরবার সংশোধন করে দলীয়ভাবে সম্পন্ন করার বিধানযুক্ত করা হয়েছে। কাজেই এবারও পৌরসভা নির্বাচনের মেয়র পদে দলীয়ভাবেই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কেননা আইন যেভাবেই আছে, সেভাবেই আমাদের ভোট করতে হবে। আর আইন সংশোধন করে আবার আগের জায়গায় অর্থাৎ নির্দলীয় নির্বাচনের দিকে ফিরে যাওয়ার কোনো আলোচনা নেই।
এদিকে স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের অধিক ব্যবহারের লক্ষ্যে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। পৌরসভার ভোটে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।