শওকত আলী ঃ
চাঁদপুর মাছ ঘাটে অসময়ে প্রচুর ইলিশ আমদানী হচেছ। এতে করে ইলিশ জেলেদের মনে যেমন আনন্দ তেমনী ব্যবসায়ীদের মনে ও আনন্দের জোয়ার দেখা যাচেছ। মেঘনা নদীতে ধরা পড়তে শুরু করেছে মনে-মনে ইলিশ। দীর্ঘ অপেক্ষার পর জেলেরা তাদের কাঙ্খিত নাগালে পৌঁছতে পেরেছে। গত দু’তিন মাস ধরে চাঁদপুর মাছঘাট ছিলো ইলিল শূন্য কিন্তু এখন তার বাস্তব চিত্র পরিবর্তন হয়েছে।
মাছঘাটে গেলে দেখা যাবে মেঘনায় ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ। চাঁদপুর ছাড়াও দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ভোলা, চরফ্যাশন, দৌলতখান, হাতিয়া, রামগঞ্জ, শরিয়তপুর ও নোয়খালীর জেলার নিম্নাঞ্চল থেকে প্রতিদিন চাঁদপুর আড়তে মণে মণে ইলিশ আসছে। আর এসব ইলিশ প্রক্রিয়াজাত করে পৌঁছানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে প্রচুর ধরা পড়ছে রুপালি ইলিশ। এই মুহুর্তে¡ ইলিশ ধরা পড়ায় জেলেরাও খুশি। দিন-রাত ঘুম নিদ্রা উপেক্ষা করে জাল ও ট্রলার নিয়ে জেলেরা পাড়ি দিচ্ছেন নদীর গহিণে।
ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ শিকার করে ঘাটে ফিরছেন ভরপুর আনন্দ নিয়ে। ইলিশ বিক্রির টাকা দিয়ে তারা পরিশোধ করছেন মহাজনের দাদনের টাকা।
চাঁদপুর মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জলবায়ু ও নদ-নদীর পানি প্রবাহের তারতম্যের কারণে ইলিশ ধরা পড়ার মৌসুমও অনেকটা বদলে গেছে। এ কারণে জেলার পদ্ম-মেঘনায় ভরা মৌসুমেও তেমন ইলিশের দেখা মিলেনি। তাই হয়ত অসময়েও চাঁদপুর নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশধরা পড়ছে।
এদিকে পাইকারি বাজারে ইলিশের দাম এখনো কমেনি। চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, পুরো আড়ৎ জুড়ে ইলিশ আর ইলিশ। বড় সাইজের এসব ইলিশ দেখে অনেকেরই ইলিশ না কিনা পর্যন্ত মন ভরছে না।
এক কেজী ওজনের একটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৭ শ’৫০টাকা থেকে ১৯শ’ টাকায়। আর ৮শ গ্রামের ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১ হাজার ২শ ৫০ টাকা ।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী ও জেলেরা জানান, গত ৩/৪ দিন ধরে চাঁদপুর মাছঘাটে প্রচুর ইলিশ আমদানী হওয়ায় মাছ ঘাট ইলিশে ভরপুর হচেছ প্রতিদিন। জেলে থেকে শুরু করে আড়ৎ ব্যবসায়ী সবাই খুশি। আর এই ইলিশের দামও সাধারন ক্রেতার নাগালের মধ্যে না থাকলে স্থানীয়রা ইলিশ খাওয়া সম্বব হবে না।
স্থানীয় ব্যাবসায়ী বাবুল হাজী জানান, ইলিশের দামের বিষয়টা শুধু আমদানির উপর নির্ভরশীল হয়ে বেচা বিক্রি করা হচেছ। এখানকার বড় সাইজের ইলিশ চলে যায় ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, জামালপুরসহ বিভিন্ন জেলায়। সেখান থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আমদানী করা হয় চাঁদপুরে।