শওকত আলী॥
চাঁদপুরে শীতের তীব্রতা বেড়ে চলছে মারাত্বক ভাবে। এতে করে শীতে অসহায় দরিদ্র মানুষেরা খুব বেশী কস্ট পেতে দেখা যাচেছ বিভিন্ন স্থানে। এ সব শীর্তাত্তো মানুষের শীত নিবারনের জন্য বৃত্তবান,ধনাঢ্য ব্যাক্তিদের,রেড ক্রস,রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এদের জন্য গরম কাপড় নিয়ে এগিয়ে আসতে দেখা যাচেছনা। দিন শেষে সন্ধ্যার পর থেকে কনকনে শীতের হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করছে। চাঁদপুরে এবার মৌসুমের শুরুতেই হাঁড় কাঁপানো শীত না থাকলেও গত কয়েক দিন যাবত শীতের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। হিমেল বাতাসের ঠান্ডায় কাবু ফুটপাতের খোলা আকাশের নীচে অসহায় মানুষ। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে শীতের তীব্রতা দিনদিন বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে শীতার্ত অসহায় মানুষের কষ্টও বাড়ছে। বিশেষ করে তীব্র শীতে ফুটপাতে, নৌ-টার্মিনালে ও রেলওয়ে স্টেশনে রাত কাটানো মানুষগুলো ভীষণ কষ্ট পেতে দেখা যাচেছ। অনাথ পথশিশু ভিক্ষুক আর অসহায় বয়োবৃদ্ধরা শীতের কষ্ট নিবারনের জন্য হাত পেতে বসে আছে। যদি কেউ শীতার্তদের জন্য শীতবস্ত্র নিয়ে আসেন এ প্রতিক্ষায় থাকছে।
চাঁদপুরে শীতের তীব্রতা যত বাড়ছে শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগ তত বাড়ছে। অন্যান্য বছর বিভিন্ন সামজিক ও রাজনৈকিত সংগঠনগুলোর শীতবস্ত্র তিবরণ করতে দেখা গেলেও এবার তা দেখা যাচ্ছে না। অসহায় মানুষের মধ্যে অনেকেই নিজ উদ্যোগে শীতাবস্ত্র কিনে শীত থেকে রক্ষার চেস্টা করছে। এমন কথাই বলেছেন চাঁদপুর রেলওয়ে কোর্টস্টেশন এলাকার কয়েকজন ফুটপাতের অসহায় মানুষ। প্রতিদিন চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন ফুটপাত, রাস্তার মোড়, রেলস্টেশন এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে শীতার্তদের কষ্ট বেড়ে চলেছে।
এদিকে অনেকেই কলেজের শিক্ষার্থী ও সংগঠনের সদস্যরা শীতার্ত মানুষের জন্য ইভেন্ট করে টাকা সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোথাও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখা যায়নি। অনেকেই চাঁদা তুলে টাকা জমিয়ে শীতের জামা কিনবেন বলে জানাচ্ছেন। বাস টার্মিনাল,নৌ-টার্মিনাল ও রেলস্টেশন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শীতে কাবু হয়ে ছেড়া কাপড় গায়ে জড়িয়ে শুয়ে আছে অনাথ শিশু, মহিলা ও শ্রর্মজীবী অসহায় মানুষ। তাদের প্রত্যেকেরই প্রত্যাশা প্রচন্ড এই শীতে একটু গরম কাপড়। যে কেউ পাশে গিয়ে দাঁড়ালেই ওরা গরম কাপড় চেয়ে বসে।
স্বপ্নতরু সামাজিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন বলেন, দিন দিন শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আগ্রহীদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তবে বিতরণ প্রক্রিয়ার সুষ্ঠু পরিচর্যার অভাবে প্রকৃত শীতার্তদের নিকট প্রয়োজনীয় বস্ত্র অনেক সময় পৌঁছে না। এ জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সামাজিক সংগঠন ও সাংবাদিকদের সম্পৃক্ত করলে সত্যিকারের শীতার্ত মানুষ উপকৃত হবেন। এছাড়া এ কর্মসূচীগুলোকে শহরকেন্দ্রিক না করে গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে হবে। প্রকৃত অসহায় মানুষের সংখ্যা গ্রামেই সব চেয়ে বেশি। এ জন্য উদ্যোক্তাদেরকে প্রত্যন্ত এলাকাকে বেছে নিতে হবে। এই অসহায় মানুষদের হাসিতেই তো হাসবে সুন্দর এই প্রকৃতি।
এ ব্যাপারে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো: আব্দুস সবুর মন্ডল বলেন,আমরা সংসদ সদস্যেদের মাধ্যমে এ বছর সরকারী ভাবে প্রচুর শীত বস্ত্র এসেছে। সেই গুলি আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকতাদের কাছে বিতরন করে দিয়েছি। তারা তাদের মাধ্যমে সেগুলো কখন বিতরন করবেন,সেটা তাদের সাথে যোগাযোগ করলে জানতে পারবেন।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারন সম্পাদক মো:মাসুদ ভুঁইয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,শীত বস্ত্র এ বছর এখন ও পাইনি। পেলে বিতরন করা হবে। পাবো কিনা তাও জানিনা।গত বছরও শীত বস্ত্র পাইনি।এটা হেড কোয়াটার থেকে দেওয়া হয়ে থাকে।