রফিকুল ইসলাম বাবু,
চাঁদপুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিন্ম মানের সেমাই তৈরীর হিড়িক পড়েছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীদের মাঝে। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে বিএসটিআই’র অনুমোদন ছাড়াই চাঁদপুরের পুরাণবাজারে একশেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন বেকারীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল এবং নিু মানের লাচ্ছা সেমাই তৈরী করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছ্্ে । আসন্ন ঈদউল ফিতরকে সামনে রেখে বিএসটিআই’র অনুমোদন ছাড়াই তৈরীর হছেছ লাচ্ছা সেমাই। আর পুরানবাজারে পাইকারী আড়ৎগুলোর মাধ্যমে নিন্ম মানের এসব লাচ্ছা সেমাই পৌঁছে যাচ্ছে গ্রাম গঞ্জের আনাচে কানাচে এসব নিন্ম মানের সেমাইর অনেকেরই বিএসটিআই’র অনুমোদন নেই। এছাড়া এসব অস্বাস্থ্যকর নিুমানের লাচ্ছা সেমাই জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারা জানায়, এসব সেমাই, পূবালী লাচ্ছা সেমাই, তীর লাচ্ছা সেমাই, খেয়ে মানুষের পেটের পিড়াসহ বিভিন্ন প্রকার রোগ বালাই হয়ে থাকে। এসব খোলা লাচ্ছা সেমাইর গায়ে বিএসটিআই’র অনুমোদনের সিল নেই। আবার অনেক ব্যান্ডের লাচ্ছা সেমাইর উৎপাদনের তারিখ ও মেয়দ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ লিখা নেই। সরজমিনে আলম লাচ্ছা সেমাই তৈরীর কারখানায় গিয়ে দেখা যায় ১৫ থেকে ২০ জন শ্রমিক খালি পায়ে সেমাই তৈরীর জন্য খামির খালি পায়ে মাড়াচ্ছে। শ্রমিকদের অনেকেরই গায়ে জামা ছিল না। গোডাউনের মত একটি বন্ধ ঘরের মধ্যে তৈরী হচ্ছে আলম লাচ্ছা সেমাই। সেখানে সেমাই তৈরীল শ্রমিকদের শরীর থেকে ঘাম ঝরছে আর এ ঘাম সেমাই তৈরীর ঘামিয়ে পড়ছে। এছাড়াও সেখানে দেখায়ায় খালি ফ্লোরে মধ্যে সেমাই তৈরীর বিভিন্ন উপকরন পড়ে আছে যেগুলোতে মাছি মশা উড়তে দেখে গেছে। সেমাই তৈরীর শ্রমিকের দৈনিক এ কারখানায় কত কি পরিমাণ সেমাই তৈরী হয় জানাতে চাওয়া হলে সে জানায় দৈনিক প্রায় ৪শ’ কেজি ময়দার সেমাই তৈরী হয়। এ ছাড়া রয়েজ রোডে পাঁচ তারা সেমাইর কারখানায় গিয়ে দেখা যায় সেখানে ময়লা আবর্জনায় একাকার। এছাড়া প্রায় সকল সেমাই তৈরী কারখানায় গিয়ে দেখা গেছে সেখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরী হচ্ছে দেদারছে। এ যেন দেখার কেউ নেই। তাই এসব অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী লাচ্ছা সেমাইর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা একান্ত অপরিহার্য বলে সচেতন মহল মনে করে।