নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁদপুরে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়তে শুরু করেছে। গত ৫ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিষপান, পারিবারিক কলোহ, খেলার চলে ও রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ৪জনের। এছাড়াও একই সময়ের মধ্যে মেঘনা নদী থেকে অজ্ঞাতনামা যুবকলের লাশ উদ্ধার করেছে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ।
গত ৫ ডিসেম্বর চাঁদপুর শহরের গুয়াখোলা পন্ডিত পাড়া এলাকার মোহন ঢালীর ভাড়াটিয়া ব্যাংক কর্মকর্তা শ্যামল সাহার পুত্র প্রমিদ সাহা ওরফে অংকুর (১২) বিকেল ৫ টায় পিতার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলো। এ সময় ঘরে ঝোলানো থাকা একটি দড়ি গলায় লাগিয়ে নাড়াচারা করে খেলতেছিল। হঠাৎ সোফার উপর থেকে পা ফসকে গিয়ে গলায় ফাস লেগে যায়। এতে করে ঘটনাস্থলেই সে মৃত্যু বরণ করে।
১০ ডিসেম্বর শ্বশুর পরিবারের লোকদের সাথে অভিমান করে আত্মহত্যা করে জেসমিন আক্তার (২৯) এক গৃহবধু। সে ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা ইউনিয়নের চান্দ্রাবাজার সংলগ্ন খাড়খাদিয়া গ্রামের প্রবাসী ফারুক আলমের স্ত্রী।একই দিনে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৩নং হানাচর ইউনিয়নের হরিণা ফেরিঘাট এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ। ওইদিন সকালে এলাকার ইউনুছ নামের এক ব্যাক্তি নদীতে লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসীকে জানায়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
১৩ডিসেম্বর হাইমচর উপজেলার দক্ষিণ আলগী গ্রামের বিল্লাল হোসেন (১৯) নামের এক যুবক মায়ের সাথে অভিমান করে বিষপান করে গুরুতর অবস্থায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায়। বিষপাণের কারণ হিসেবে তার মা জানায় আশা সমিতির কিস্তির টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় তার মা টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এতে সে অভিমান করে বিষপাণ করে।
১৪ ডিসেম্বর রাতে শহরের পীর বাদশা মিয়া রোডে মৃত্যু হয় গৃহবধু হাজেরা বেগমের। এ মৃত্যুর ঘটনাটি হত্যার অভিযোগ এনে হাজেরার স্বামীসহ শ্বশুর পরিবারের ৭জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে হাজেরার মা। পুলিশ মৃত্যুর ঘটনাটির মূল রহস্য উদঘাটনে ইতোমধ্যে হাজেরার স্বামী শরীফকে আটক করেছে। বর্তমানে সে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও অভিজ্ঞ মহলের অভিমত, আত্মহত্যার অন্যতম কারণ হচ্ছে মানসিক ভারসাম্য হারানো। ধর্মীয় মুল্যবোধ, শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন, সহানুভুতি, সহমর্মিতা, মানবিকতা, ভালোবাসা ইত্যাদি বিষয়গুলো কোন মানুষের জীবনে অনপুস্থিত এবং পরিবারের কর্তাব্যাক্তিরা সচেতন না হলে আত্মহত্যার মত ঘৃণ্যতম ঘটনা বৃদ্ধিপায়। এসব বিষয়গুলো অনুসরণ এবং সামাজিকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারলেই আত্মহত্যার প্রবণতা কমে আসবে।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।