কলেজের ৫০ লক্ষ টাকা অনুদান এনে দেওয়ার নামে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা আত্বসাৎ।
ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নতুনভাবে না করার টালবাহানা।
হোমিও প্যাথিক মেডিকেল কলেজে পারিবারিক কলেজে রুপান্তরিত।
একই কলেজে ৫ ভাই ১ বোন স্ত্রী সহ ৭ জন কর্মরত।
টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার্থীদের নকলে সহযোগিতা।
আর্থিক অনিয়ম ও আয়াকে ধর্ষনের অভিযোগে থানায় মামলা।
চাঁদপুরে আদর্শ হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মোজাম্মল হকের বিরুদ্ধে দূর্নিতী,অর্থ আত্বসাৎ,নারী কেলেংকারী সহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঠখোলা খলিশাডুলি গ্রামের নির্ঝুম জায়গায় অবস্থিত আদর্শ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে ঘিরে অধ্যক্ষ মোজাম্মল হক নানা অনিয়মের আখড়া গড়ে তুলেছে। এ ঘটনায়র আলোকে মোজাম্মেল হকের দূর্নীতির অবসান ঘটাতে আদর্শ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রভাষক মোঃ জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কলেজের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক কলেজে বিভিন্ন অনিয়মের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছে। আদর্শ হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর ও নিজের অপকর্ম ঢাকতে নতুন কমিটি গঠন না করে অধ্যক্ষ কলেজের সব কাজ নিজেই পরিচালনা করে আসছে। বোর্ড রেজুলেশন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ম্যানেজিং কমিটি করতে দেরি হলে ৫ সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটি গঠন করে ৬ মাসের মধ্যে বোর্ডে পাঠানোর বিধান রয়েছে। ১৯৮৯ ধারা-৫(৫)অনুচ্ছেদে তা দৃশ্যমান। কিন্তু অধ্যক্ষ এসব নিয়ম কানুন না মেনে অদৃশ্য খুটির জোরে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসকের জাল স্বাক্ষর দিয়ে কার্যক্ষম পরিচালনা করে আসছে। এই সুযোগে তার স্ত্রীকে প্রথমে মেডিকেল অফিসার পরে শিক্ষক নিয়োগ এবং তার বোনকে কলেজে নিয়োগ দিয়েছেন। স্ত্রীকে নিয়োগের বেলায় বোর্ডে কোন সিলেকশন কমিটি ছিলো না। যাহা ৮৩ ধারা ২(এন),৩৩(এ) লঙ্গন করেছেন। অধ্যক্ষের আর্থিক অনিয়ম ও কলেজের আয়াকে ধর্ষন অপকর্মের কারনে প্রভাষক জসিম উদ্দিন চাঁদপর জজ কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যা এখন ও চলমান রয়েছে। কলেজ উন্নয়নের নামে ৫০ লক্ষ টাকার অনুদান এনে দেওয়ার কথা বলে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে কলেজ ফান্ড হতে বোর্ডে ঘুষ দেওয়ার নামে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে নিজেই ভুড়িভোজ করেছেন। যার কারনে কলেজের ৫ তলা ভবন নির্মানের মঞ্জুরী বাতিল হয়ে যায়। কলেজের সেই টাকা কোথায় গেলো সেই প্রশ্ন সবার মনে। অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হকের আয়াকে জোর করে ধর্ষনের ঘটনা জানাজানি হলে নিজের অপকর্ম ঢাকতে কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া কলেজের আয়াকে কলেজ থেকে নিয়মবর্হিভূত ভাবে বের করে দেয়। এদিকে কিছুদিন পূর্বে ব্যাংক কর্মকর্তা হিন্দু মেয়ে ও সরকারী কলেজের অনার্সের ছাত্রীকে তার ছেলে ফুসলিয়ে বাসায় নিয়ে ধর্ষন করে। গভীর রাতে এলাকার মানুষ তাদের ২ জনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্ধ করে। পরে হিন্দু মেয়েকে মুসলিম বানিয়ে তার ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে ধর্ষনের মামলা থেকে রেহাই পায়। গত কয়েক বছর পূর্বে তার আপন ভাই এ কলেজের প্রভাষক এক রোগীনী চিকিৎসার জন্য আসলে চিকিৎসার নামে তাকে ও ধর্ষন করে। সে ঘটনা জানা জানি হলে তার ভাই সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা দিয়ে ঘটনার সমাধান করে। এভাবেই অধ্যক্ষ তার ভাই ও ছেলে নানা অপকর্ম করে অঞ্জাত খুটির জোরে পার পেয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী যে কোন মূহুর্তে প্রতিষ্ঠানের উপর হামলা চালানোর আশংকা রয়েছে। এতেই অধ্যক্ষ মোজাম্মল হকের অপকর্মের শেষ নয়। সে এই কলেজটিকে পারিবারিক কলেজে রুপান্তরিত করেছে। যেখানে অধ্যক্ষ মোজাম্মল হকের ৫ ভাই ১বোন,স্ত্রী সহ ৭ জন আদর্শ হোমিও প্যাথিক মেডিকেল কলেজে কর্মরত রয়েছে। এ কলেজে প্রতি বছর যে সকল ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দিচ্ছে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে অধ্যক্ষ নিজে নকলের সহযোগিতা করে পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিচ্ছে।
এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবীতে এ কলেজের প্রভাষক জসিম উদ্দিন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড চেয়ারম্যানের বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রেরন করে। যার অনুলিপি রেজিষ্টার বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড, সভাপতি আদর্শ হোমিও প্যাথি মেডিকেল কলেজ, সকল বোর্ড সদস্য বরাবর প্রেরন করে।
এ ব্যপারে চাঁদপুর আদর্শ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মোজাম্মল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ হয়েছে। কিছুই হয়নি ভবিষৎ এ হবে না। কারন আমার মুরুব্বি যারা রয়েছে তারা সকল ঘটনা অবগত রয়েছে।