স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশন রেলওয়ে মাদ্রাসা রোডে রেলওয়ের এক একর পুকুর লীজ বিহীন অবৈধ ভাবে দখল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অবৈধভাবে লীজ বিহীন পুকুর দখল প্রক্রিয়া নিয়ে শাসক দলীয় একটি গ্র“পের সাথে বিএনপি সমর্থীত গ্র“পের সাথে চলছে সংঘর্ষ। যে কোন মহুর্তে এ দখল বানিজ্য নিয়ে বড় ধরণের সংঘর্ষ ও জীবন হানির উপক্রম দেখা দিয়েছে। এব্যাপারে স্থানীয় রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরী হস্তক্ষেপ করা একান্ত প্রয়োজন হয়ে পরেছে।
চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশন মাদ্রাসা রোড এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের চাঁদপুরস্থ রেলওয়ে এলাকায় অর্ধশত পুকুর লীজ ও লীজ বিহীন অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে শহরের মাদ্রাসা রোড এলাকায় অবস্থিত কয়েকটি ও উত্তর শ্রীরামদী জামতলা এলাকায় কয়েকটি পুকুর রয়েছে, লীজ বিহীন। এসব পুকুর স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক সরকারকে রাজস্ব না দিয়ে লীজ বিহীন অবস্থায় মাছ চাষ করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজেরা লাভবান হচ্ছে। এসব পুকুর লীজের আওতায় না আনার বিষয়ে ব্যর্থতা হচ্ছে স্থানীয় দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের। বর্তমানে মাছ চাষ একটি বড় ধরণের ব্যবসায় রূপ নিয়েছে। যার ফলে শহর ও শহরতলীর যেসব পুকুর লীজের আওতায় আনা হয়েছে, সে সব পুকুর প্রতিযোগিতার মাধ্যমে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় লীজ নিয়েছে চাঁদপুরের মৎস্য চাষিরা। এ সরকার প্রতি বছর প্রতিটি পুকুর হতে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব পাচ্ছে। বর্তমান সময় পূর্বের সরকার নির্ধারীত যে রাজস্ব পেতো তা ১০০% বৃদ্ধি করে নবায়ন করে নিচ্ছে চাঁদপুরের মৎস্য চাষি ও ব্যবসায়ীরা। চাঁদপুর রেলওয়ের পুকুরের মাছ চাষ করতে যেখানে বড় ধরণের চাহিদা রয়েছে। এ অবস্থায় বড় স্টেশন মাদ্রাসা রোড এলাকায় রেলওয়ে ক্লাবের নামে লীজকৃত পুকুরটির পাড়ে, রেলওয়ে কোয়াটারের পিছনে বড় ধরণের ১ একর একটি পুকুর রয়েছে। সে পুকুরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পৌর মেয়র ও শাসক দলীয় নেতাদের নাম ভাঙ্গীয়ে জনৈক জাহাঙ্গীর এলাকার কতিপয় লোকদের নিয়ে পুকুরটির ২ মাথায় (গড়া) নেট স্থাপন করে সেখানে পার কেটে সমান করে মাছ চাষের পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে। এ পুকুরটিতে (গড়া) নেট স্থাপন করছে, শাসক দলের সাথে নব্য সম্পর্ক স্থাপন করে চলা ব্যক্তি মনা ও গিয়াস উদ্দিন গিয়াস। রেলওয়ে এলাকায় অবস্থিত রেলওয়ে কোয়াটারের ও পুকুর পাড়ে অবস্থিত বসবাসরত শতাধীক এলাকাবাসীর ব্যবহৃত পানি/বৃষ্টির মৌসুমে পানি এ পুকুরে পড়ে তা মেঘনা নদীতে গিয়ে প্রবেশ করে। বর্তমানে যে ভাবে মাছ চাষের জন্য নেট স্থাপন করে বন্ধ করা হয়েছে, তাতে করে শত শত মানুষের ব্যবহৃত পানি ও বৃষ্টির পানি আটকে কৃত্রিম বণ্যার সৃষ্টি হওয়ার সম্বাবনা রয়েছে। এছাড়া এ ১ একর পুকুরটি রেলওয়ে নিয়ম মোতাবেক লীজ প্রদান করলে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় পাবে। চাঁদপুরে লীজ নিয়ে মাছ চাষাবাদ করা চাষিরা তাদের মতামত ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, চাঁদপুরে যেসব রেলওয়ে পুকুর লীজ বিহীন অবস্থায় রয়েছে, সে সব পুকুর টেন্ডারের মাধ্যমে লীজের আওতায় এনে লীজ প্রদান করা হউক। তাতে সরকার প্রায় কয়েক কোটি টাকা রাজস্ব পারে। এ পুকুর দখল করে মাছ চাষকে কেন্দ্র করে এলাকার বঞ্চিত হওয়া শাসক দলীয় নেতা-কর্মী, বিএনপির এক শ্রেণি নেতাকর্মীদের সাথে পুকুর দখল করা শাসক দলীয় লোকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা এ পর্যন্ত কয়েকবার ঘটেছে। আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বৃদ্ধমান। এব্যাপারে ঘটনাস্থলে অবস্থানরত মনা ও গিয়াস জানান, পৌর মেয়র তাদেরকে মাছ চাষের অনুমতি দিয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের চট্টগ্রামস্থ বিভাগীয় সহকারী ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা এমএ বারির সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, পুকুরটি কেন লীজের আওতায় আনা হয়নি তা’ক্ষতি দেখছি। এছাড়া অবৈধ ভাবে পুকুর দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য মাদ্রাসা রোডস্থ যে পুকুরটি বর্তমানে দখল করে লীজ বিহীন ভাবে মাছ চাষ করার পায়তারা করা হচ্ছে। সে পুকুরটি গত একবছর পূর্বে ড্রেজারের মাধ্যমে বালি ভরাট করে বিক্রির চেষ্টা কালে দৈনিক ইলশেপাড় পত্রিকায় ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট প্রকাশ করলে তাৎক্ষনিক প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে ওই সময় বালু ভরাট বন্ধ হয়ে যায়।