স্টাফ রিপোর্টার:
সম্পত্তিগত বিরোধের জের ধরে চাঁদপুর সরকারি কলেজের একুশের আলোচনা সভা চলাকালিন সময় শিক্ষক কে লাঞ্ছিত ও ২ (কর্মচারী) এমএলএস কে মরধর করেছে আরেফিন ও ভুট্টোর নেতৃত্বে একদল যুবক।
রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারী) দুপুর সাড়ে ১১টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে মহান শহীদ দিবস ও আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভার প্যান্ডেলে এই ঘটনা ঘটে।
লাঞ্চিতরা হলেনঃ চাঁদপুর সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান, চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী (এমএলএস) বিজয় ত্রিপুরা ও বিশম্বর ত্রিপুরা।
চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এ এস এম দেলওয়ার হোসেন বলেন, কেউ আইনের উর্দ্ধে নয়। শিক্ষক লাঞ্চিতের মূল কারণ হল জায়গা। সভা চলাকালিন সময়ে উশৃঙ্খল যুবকরা লাঞ্চিতের ঘটনায় মহান শহীদ দিবস ও আর্ন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা বন্ধ করা হয়। বিষয়টি পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারকে জানানো হয়েছে। তাৎক্ষনিক কলেজ শিক্ষক পরিষদের জরুরী বৈঠকের আহবান করা হয়েছে।
কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ওহিদুজ্জামান ও সাবেক আলমগীর হোসেন বাহার জানান, চাঁদপুর সরকারি কলেজের মহিলা ছাত্রী নিবাসের পিছনে থাকা সম্পত্তি মাসুদুর রহমান নামে এক ব্যাক্তি দাবী করে আসছে। কিন্তু আজকে এই নিয়ে কোন কথা হয়নি। কলেজের আয়োজনে একুশের আলোচনা সভায় হঠাৎ আরেফিন ও ভুট্টো নামে দুই যুবক সংঘবদ্ধ হয়ে মাসুদুর রহমানের পক্ষ নিয়ে ওয়াহিদুজ্জামান ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী বিজয় ত্রিপুরা ও বিশম্বর ত্রিপুরাকে লাঞ্চিত ও মারধর করে। তাৎক্ষনিক অধ্যক্ষ মহোদয় আলোচনা সভা বন্ধ করে দেন। আমরা অপরাধীদের শাস্তি দাবী জানাই।
চাঁদপুর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আহসানুজ্জামান লাভু জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে আসি। নির্দিষ্ট কাগজপত্র নিয়ে বসে সমাধানের জন্য বলা হয়েছে। এ সম্পত্তি নিয়ে সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কোন পক্ষকেই না যাওয়ার জন্য মৌখিক ভাবে বলা হয়েছে।