শওকত আলী:
জাটকা রক্ষায় ইলিশ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাই বৈশাখ বরনে চাঁদপুরে হিমাগারে সংরক্ষিত ইলিশ ও নোনা ইলিশের কদর বেড়েছে। বৈশাখ উপলক্ষে সেই বৈশাখী আনন্দে বাঙালির পান্তা ইলিশ না হলেই নয়। তাই পুরো চাঁদপুরবাসী ইলিশ কিনতে রীতিমত প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। বিশেষ করে হিন্দু সস্প্রদায়ের লোকেরা পহেলা বৈশাখ উদযাপনে পান্ত-ইলিশ আয়োজনে সংরক্ষিত ইলিশ ও নোনা ইলিশ ক্রয় করছে।
রাত পোহালেই বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। মেতে উঠবে পুরো দেশ। আর সেই বৈশাখী আনন্দে বাঙালির পান্তা-ইলিশ আয়োজনে চাঁদপুরের বাজারে ক্রেতারা ভীর করছে। কিন্তু এখন জাটকা রক্ষায় ইলিশ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ অবস্থায় চাঁদপুরের সংরক্ষিত ইলিশ ও নোনা ইলিশের ইলিশের চাহিদা বেড়েছে। শুধু চাঁদপুরেই নয়, দেশের বিভিন্ন জেলায় বিশেষ করে বৃহত্তর ময়মনসিংহের জামালপুর, শেরপুর জেলাসহ বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে সংরক্ষিত ইলিশ ও নোনা ইলিশ।
চাঁদপুরের মাছ ঘাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভরা মৌসুমে হিমাগারে সংরক্ষিত ইলিশ এখন বাজারে ৫শ থেকে ৬শ গ্রাম ইলিশের মণ ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা এবং ২শ থেকে ৩শ গ্রাম ইলিশের মণ ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর নোনা ইলিশ ৫শ থেকে ৬শ গ্রাম ইলিশের মণ ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা এবং ২শ থেকে ৩শ গ্রাম ইলিশের মণ ৮ থেকে ৯ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর টেম্পু বা জাটকা ইলিশের মণ বিক্রি হচ্ছে ৭ হাজার টাকা।
চাঁদপুর মাছঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী জানান, বিশেষ করে হিন্দু সস্প্রদায়ের লোকেরা পহেলা বৈশাখে মেতে উঠে। মেতে উঠবে পুরো দেশ। সেই সাথে চাঁদপুরবাসীর মেতে উঠবে। তাই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সংরক্ষিত ইলিশ ও নোনা ইলিশের চাহিদা বেড়ে গেছে।
উল্লেখ্য, বৈশাখ বরনে মায়ানমার থেকেও ইলিশ আসছে চাঁদপুরের বাজারে।
শিরোনাম:
বুধবার , ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ১৯ মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।