মেঘনা নদীর চাঁদপুর নৌ-সীমানায় মা ইলিশ নিধনের দায়ে ২৭ জেলেকে ১ ও ২ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যামান আদালত। বৃহস্পতিবার দুপরে চাঁদপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে ও কোষ্টগার্ডের পল্লনে বসে ভ্রাম্যামান আদালত বসিয়ে এই কারাদন্ডাদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কামাল মো. রাশেদ ও আবদুল্লা সাদিদ এবং উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা উদয়ন দেওয়ান।
মেঘনা নদীর হরিনা, দোকানঘর এলাকায় মাছ ধরার সময় ৩০ হাজার মিটার কারেন্টজাল জব্দ করে কোষ্টগার্ড।
সকালে নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কামাল মো. রাশেদ এবং শেখ আবদুল্লা সাদিদ ভ্রাম্যামান আদালত ১৫ জেলের মধ্যে গনি মিজি(২২), আবুল কাশেমকে ২বছর সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। এছাড়া কাঞ্চন গনি(২২), জাকির(১৮), সহিদ গাজী(২৫), রহিম(৫৫), দেলোয়ার হোসেন(২৫), আবদুল মালেক(৪০), আবুল খায়ের(৩২), শাহাজালাল(২৫), মানিক মিয়া(২০), আকতার মাজী(২৪), আনোয়ার হোসেন(২০),আবদুল রশিদ(৩০), নুরমোহাম্মদ(৩০)কে ১ বছর সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দুপুরে কোষ্টগার্ড অভিযানে আটক আনোয়ার হোসেন(৩২), কালু মিয়া(৩০), জাহাঙ্গীর(২২), নাজমুল হোসেন(২৪), সুলতান(২২)কে ১ বছর কারাদন্ড প্রদান করেন। বিকেলে সুমন(২০),সলিমান(২২),হযরত আলী(৩০) জাকির হোসেন(২২)কে ১ বছর সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা উদয়ন দেওয়ান। এসময় নবীন হোসেন(১৭)কে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেন। ইমরান হোসেন(১৪) ও সবুজ(১০)কে বয়স কম হওয়ায় স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্মায় সুছলেখা ছেড়ে দেন।
চাঁদপুর নৌ- পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিএম নুরুজ্জামান জানান, মা ইলিশ রক্ষার্থে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত নৌ-পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ল্গীমারার চর থেকে শুরু করে হাইমচর পর্যন্ত আলুর বাজার, হরিণা, চরভৈরবী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব জেলেদের আটক করা হয়।
চাঁদপুর নৌ-পুলিশের (এসপি) মো. শাহরারিয়ার আটক ও কারাদন্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মা ইলিশ রক্ষার্থে আগামী ৯ অক্টোবর পর্যন্ত নৌ-পুলিশের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। জব্দকৃত মাছগুলো জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কোল্ডস্টোরেজে সংরক্ষন করা হয়েছে। এছাড়া কারেন্টজাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।