স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুরে দিন দিন কদর বাড়ছে খাঁচায় মাছ চাষ পদ্ধতির। মুক্ত জলাশয় কিংবা বদ্ধপুকুরের তুলনায় খাঁচায় মাছ চাষ সহজ ও লাভজনক বিধায় অনেকেই খাঁচায় মাছ চাষের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠছে। অবশ্য জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে আবেদন করার দীর্ঘ সময় পরও মিলছে না অনুমতি, অভিযোগ সাধারণ চাষিদের। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে আবেদনগুলো অনুমোদনের কাজ চলছে।
বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ২০০২ সালে চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীতে শুরু হয়েছিলো খাঁচায় মাছ চাষ পদ্ধতি। অন্য সকল পদ্ধতি অপেক্ষা বেশি সাশ্রয়ী, সুবিধাজনক এবং লাভজনক খাঁচায় মাছ চাষ। এ কারণে চাঁদপুরে মাছ চাষি ও খাঁচার সংখ্যাও বাড়তে থাকে। তাই জেলা মৎস্য কর্মকর্তার বরাবর অনেক আবেদন পড়েছে খাঁচায় মাছ চাষের অনুমতির জন্যে। যদিও আবেদনের সংখ্যা জানা যায়নি। দ্রুত অনুমতি দেয়ার জোর দাবি জানান অনেক উৎসাহি চাষি।
খাঁচার মালিক আলমগীর হোসেন বলেন, খাঁচায় সাধারণত তেলাপিয়া মাছ চাষ করা হয়। প্রতি খাঁচায় বছরে ১০/১৫ হাজার টাকা লাভ হয়। এ দিয়ে নিজের লাভ সাথে শ্রমিকদেরও কর্মসংস্থান হচ্ছে।
খাঁচায় মাছ চাষে আগ্রহী রাসেল মিয়া, মজিবুর রহমান ও আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, খাঁচায় মাছ চাষ করলে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা লাভবান হওয়া যায়। আমরা মৎস্য বিভাগে আবেদন করেছি গত তিন মাস হলো। অথচ এখনো অনুমতি পাই নি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সফিকুর রহমান জানান, আবেদনগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে মাছ চাষের এ পদ্ধতি কম খরচ ও লাভজনক বিধায় আবেদন অনুমোদন পদ্ধতি আরো সহজ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
সরকারি হিসেবে চাঁদপুরে বর্তমানে প্রায় ১৫শ’ খাঁচা রয়েছে। বেসরকারি হিসেবে আরো বেশি হতে পারে। তবে খাঁচায় মাছ চাষ থেকে বিপুল পরিমাণ আমিষের যোগান হয় জেলার বিভিন্ন স্থানে।