প্রতিনিধি
জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলায় গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে নাচের বকশিস নিয়ে তিন দফা হামলায় ঘর-বাড়ী ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে হাজী বাড়ীর আলী আহম্মদের ছেলে ইমন ও নেছার আহম্মদের স্ত্রীকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে হাজীগঞ্জ থানায় ইউপি সদস্যসহ ২০জনকে আসামী করে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার ৬ নং বড়কুল ইউনিয়নের সর্বতারা গ্রামের হাজী বাড়ীতে তৃতীয় দফা হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে শনিবার রাতে হাজী বাড়ীর আবদুল করিমের ছেলে ইয়াছিনের গায়ে হলুদে হামলার ঘটনার সূত্রপাত হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে ইয়াছিনের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে নাচের বকশিস উঠানো হয়। ওইসময় বকশিসের টাকা নিয়ে টানা-হেঁচড়া থেকে হামলা শুরু হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইউছুফ ও সুমনের নেতৃত্বে তারা বিয়ে বাড়ীতে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। এতে নগদ টাকা ও স্বর্ণ লুট সহ প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
হামলাকারীরা ওই বাড়ীর প্রবাসী আকতার হোসেন, নেছার আহমেদ, আলী আহমেদ ও কাউছার আহম্মেদের বসত ঘর ভাংচুর করে। প্রবাসী আকতার হোসেনের স্ত্রী জানায়, তার ঘরে গুরু বিক্রির ৮০ হাজার টাকায় নিয়ে গেছে হামলাকারীরা।