চাঁদপুর: চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের হাসাদী খাশের বাড়ি থেকে শাহনাজ বেগম (৩৫) নামে গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে ওই গৃহবধাুকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পরিবারের পক্ষ থেকে।
মঙ্গলবার (২৫ মে) সকালে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ওই বাড়ী থেকে গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে।
স্বামীর বাড়ির একজন লোকের দাবি শাহানাজ আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু নিহতের বড় ভাই খোরশেদ অভিযোগ করে বলেন, ভোনের স্বামীসহ শ্বশুড় বাড়ির লোকজন শ্বাসরুদ্ধ সহ তাকে অত্যাচার করে হত্যার পর তার গলায় কাপড় পেছিয়ে ঘরের খাটের ওপর পেলে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে।
বিকালে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য নিহত গৃহবধুর লাশ চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মতলব পৌরসভার দীঘলদী মাল বাড়ীর মরহুম ওয়াজদ্দিন মালের মেয়ে শাহানাজ বেগমের সাথে প্রায় ৮ বছর আগে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের হাসাদী গ্রামের মরহুম সিরাজুল ইসলাম প্রধানীয়ার ছেলে আনিছ প্রধানীয়ার সাথে বিয়ে হয়।
নিহত গৃহবধুর ভাই জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে তাকে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে জানান আমার ভোন মারা গেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, তার ভোনকে স্বামী, তার বোন, মাসহ পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরুদ্ধসহ অমানবিকভাবে অত্যাচার করে হত্যার পর গলায় কাপড় পেছিয়ে ঘরের ভিতরে শানাজ বেগমের লাশ খাটের ওপর পেলে রেখে আত্মহত্যার প্রচারণা চালায়। শাহানাজের স্বজনরা মেয়ে হত্যার বিচার চান।
শাহনাজের স্বামী আনিছ প্রধানীয়া জানান, তার স্ত্রী গলায় শাড়ী পেছিয়ে পেনের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। কি কারণে আত্মহত্যা করেছে এবং এ সময় আপনি কোথায় ছিলেন এমন প্রশ্নের সঠিক জবাব দেননি।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আওলাদ জানান, গৃহবধুর লাশ উদ্ধারের পর সুরত হাল প্রতিবেদন তৈরী করেন। গলায় গামছা পেছানো ছাড়াও পায়ের পাশে উড়না পাওয়া গেছে। বিকালে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে আমরা কিছু বলতে পারছিনা। তবে পিএম রিপোর্টে হত্যার আলামত উঠে আসলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদদাতা/চাঁদপুরনিউজ/