স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুর সদর, শাহরাস্তি, হাজীগঞ্জ ও কচুয়া উপজেলার কয়েক হাজার গ্রাহক আবাসিক গ্যাস নিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। গত ১ বছর ধরে চলছে এ সমস্যা। রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে গ্যাস থাকলেও দিনের অন্য সময়ে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না তথা নিয়মিত গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে না। যদিও কেউ কেউ বলছেন অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়ার কারণে নিয়মিত গ্যাস পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। ঠিকাদারের সাথে যোগসাজশ করে একটি রাইজার থেকে একাধিক সংযোগ নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে নিয়মিত গ্যাস সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রচুর গ্রাহক। অথচ যথাসময়ে তারা তাদের গ্যাস বিল পরিশোধ করে যাচ্ছেন।
চাঁদপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক, গুণরাজদী, ব্যাংক কলোনীর পূর্বাংশ, রঘুনাথপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেক গৃহিণী গ্যাসের চুলার পাশেই লাকড়ী দিয়ে রান্নার কাজ সারছেন। কেউ বা সিলিন্ডারের গ্যাস ব্যবহার করছেন।
সোনিয়া বেগম, রেখা বেগম ও সুফিয়াসহ অনেক গৃহিণী অভিযোগ করে বলেন, এমন গ্যাস সংযোগ দিয়ে কী লাভ। রাত ১১টার পর গ্যাস আসে আবার ভোর ৫টার দিকে চলে যায়। ঘুমানোর সময়ে আমরা গ্যাস দিয়ে কী করবো? অথচ প্রয়োজনের সময় নিয়মিত গ্যাস পাচ্ছি না।
লতিফ বেপারী, আনোয়ার মিজি, নুরু মিজি, রুস্তম বেপারীসহ অনেক গ্রাহক জানান, আমরা মাসে মাসে যথাসময়ে বিল পরিশোধ করছি অথচ নিয়মিত গ্যাস পাচ্ছি না। শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের ভুক্তভোগী বাসিন্দারা ইতোমধ্যে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন। কয়েক দিনের মধ্যে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
বাগরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ-এর ব্যবস্থাপক মোঃ মহিবুর রহমান বলেন, আগে গ্রাহক কম ছিল, তাই নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস পাওয়া যেত। এখন গ্যাসের একটু সমস্যা হলেও তার সমাধানের চেষ্টা চলছে। এছাড়া আমরা যেখানে অবৈধ সংযোগের খবর পাচ্ছি সেখানেই অভিযান চালিয়ে তা বিচ্ছিন্ন করছি। নতুন সংযোগ নেয়ার বর্তমানে কোনো সুযোগ নেই। কারণ আমাদের কাছে প্রয়োজনীয় উপকরণ নেই।
চাঁদপুর সদর, শাহরাস্তি, হাজীগঞ্জ ও কচুয়ায় এমন ভোগান্তির শিকার গ্রাহকরা এ ভোগান্তি দ্রুত নিরসনের দাবি জানিয়েছেন।