স্টাফ করেসপন্ডেন্ট: শীতের প্রকোপ কমার সঙ্গে সঙ্গে চাঁদপুরের বাজারে আসতে শুরু করেছে গ্রীষ্মকালীন সবজি। ভোক্তার কাছে পেঁপে, করলা, ঢেঁড়স ও কাঁচাকলাসহ অন্যান্য সবজির চাহিদা বাড়ছে। নিত্যপণ্যের বাজারে বেড়েছে চালের দাম। আটা, ময়দা, চিনি, মসুর ডালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ভোজ্যতেলের দামও বাড়তির দিকে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে লালজাতীয় পাকিস্তানীখ্যাত (কক) মুরগির দাম। প্রতিকেজিতে ৮০-১০০ টাকা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আলু, পেঁয়াজ ও আদা-রসুনের দাম কমেছে।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) চাঁদপুর শহরের পালবাজার, নতুন বাজার, বিপনীবাগ বাজার, ওয়ারলেছ ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। মাছ ও মাংস বিক্রি হচ্ছে আগের দামে।
ফাল্গুনের গরম শুরু হওয়ায় শীতের সবজির পাশাপাশি নগরবাসীর কাছে গ্রীষ্মকালীন এসব সবজির চাহিদা বাড়ছে। তবে শীতের সবজির দাপটে দাম বাড়েনি অন্য কোন সবজির। বেশিরভাগ সবজি ২০-৩০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, টমেটো, মুলা, গাজর ও অন্যান্য সবজি আগের দামে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি ব্যবসায়ীরা জানালেন, শীত কমে আসায় পেঁপে, করলা, উচ্ছে এবং কাঁচাকলার চাহিদা বেড়েছে। তবে বিক্রি হচ্ছে আগের দামে। সবজির সরবরাহ ভাল থাকায় দাম বাড়তে বাড়েনি।
বিপনীবাগ বাজারের একজন সবজি বিক্রেতা বলেন, গরম পড়তে শুরু করায় মানুষ এখন পেঁপে ও কাঁচাকলার মতো সবজি বেশি করে কিনছে। প্রতিহালি কাঁচাকলা ২৫-৩০ এবং প্রতিকেজি পেঁপে ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। দাম কমে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়।
নিত্যপণ্যের বাজারে চালের দাম আরেকদফা বেড়েছে। বিশেষ করে সরু নাজিরশাইল ও মিনিকেট চালের দাম বাড়তির দিকে। কয়েক মাস ধরে চালের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। প্রতিকেজি সরু নাজির ও মিনিকেট চাল ৫৮-৬৪, মাঝারিমানের পাইজাম ও লতা ৫০-৫৬ এবং মোটামানের স্বর্ণা ও চায়না ইরি ৪৪-৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এছাড়া আটা প্রতিকেজি খোলা ৩০-৩২, ময়দা ৩৫-৩৬, মসুর ডাল ৬৫-১৪০, পেঁয়াজ ২৫-৩৫, আমদানিকৃত পেঁয়াজ ১৮-২৫, রসুন ৮০-১৩০, আদা ৬০-১২০, চিনি ৬৫-৭০, প্রতিহালি ফার্মের লাল ডিম ৩০-৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।
এক সপ্তায় সবচেয়ে বেশি বেড়েছে লালজাতীয় পাকিস্তানীখ্যাত (কক) মুরগির দাম। ওয়ারলেছ বাজারে গিয়ে দেখাগেছে প্রতিকেজি কক মুরগির দাম বেড়ে ২৫০-২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। মুরগি কিনতে গিয়ে ভোক্তার পকেট ফাঁকা হচ্ছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৩০-১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, লাল মুরগির সরবরাহ কমে যাওয়ায় হঠাৎ করে দাম বেড়ে গেছে। এছাড়া বাজারে মাছ, গরু ও খাসির মাংস আগের দামে বিক্রি হচ্ছে।
চাঁদপুরনিউজ/এমএমএ/