প্রতিনিধি
শীতের মৌসুমের প্রধান মাস পৌঁষ না আসতেই চাঁদপুর জেলা জুড়ে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে। কুয়াশার কারণে নদী পথে চলাচলকারী নৌ-যানে দেখা দিয়েছে বিপর্যয়। নির্দিষ্ট সময়ের ৫-৬ ঘন্টা বিলম্বে নৌ-যানগুলো নিজ গন্তব্য পৌঁছতে হচ্ছে। এর ফলে যাত্রীরা পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকেই চাঁদপুর ও আশপাশের উপজেলাগুলো যেন ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে। কুয়াশার কারণে সাধারন মানুষ ছোটখাট যানবাহন নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে রাতে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অগ্রাহয়নের শেষের দিকে চাঁদপুরে শীতের তীব্রতা আর কুয়াশা অনুভূত হয়েছে রোববার থেকে শুরু করে গতকাল বুধবার ভোর পর্যন্ত। চাঁদপুরের সব বয়সী মানুষকে শীতে অনেকটাই কাবু হতে হয়। সকাল হলেই দেখা যায় পথে-প্রান্তরে, বাসা-বাড়িতে মানুষজন শীতে কাবু হয়ে খরকুটো কুঁড়িয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের হাত থেকে রক্ষা পেতে আগুন পোহাতে। এতোদিন তেমন শীত অনুভূত না হলেও গত দু‘ তিন দিন ধরে শহরবাসী তা টের পেয়েছে। হঠাৎ করেই সূর্যের তেজ কমে গিয়ে শীতের প্রভাব বেড়ে গেছে। সকাল হলেই চাঁদপুরের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। গত শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে শৈত্য প্রবাহ ধেয়ে আসতে শুরু করে। রাত বাড়তে থাকলে শৈত্য প্রবাহের সাথে সাথে কুয়াশায় শহর ঢেকে যায়। নদী পথসহ চাঁদপুরের সকল স্থান যেনো কুয়াশায় ঢেকে যায়। বন্ধ হয়ে যায় নৌপথের লঞ্চ চলাচল। শৈত্য প্রবাহ আর কুুয়াশার দরুণ মানুষজন আগেভাগেই কাজ সেরে বাড়িতে চলে যায়। সবচেয়ে বেশি শীতে কষ্টে আর দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নদী সংলগ্ন এলাকার মানুষজন। এছাড়াও আরো কষ্ট পাচ্ছে ফ্লাট ফর্ম, লঞ্চ টার্মিনাল, বাস টার্মিনালে পরে থাকা হত দরিদ্র ছ্ন্নিমূল মানুষরাও। তারা প্রকৃতির সাথে লড়াই করে জীবন বাচিয়ে রেখেছে।
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সূর্যের তাপমাত্রা না থাকার কারণে বৈরী বাতাসের ফলে শীতের প্রভাব বেড়েছে। এজন্যে ধেয়ে আসছে শৈত্য প্রবাহ ও ঘন কুয়াশা। এ ঘন কুয়াশার দাপটে এ বছর প্রথম থেকেই শীত অনুভূত হচ্ছে। শিশু ও বয়স্কদের অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়ে ঠা-াজনিত রোগের পাদুর্ভাব।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ২১ মার্চ, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৭ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।