শাহরিয়ার খান কৌশিক ॥
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে চলন্ত অবস্থায় যাত্রীবাহী লঞ্চে দুর্বৃত্তরা কেবিন ভাড়া নিয়ে পেট্রোল ডেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। ঘটনার পর আগুন দেখতে পেয়ে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ আগুন নিভিয় পেলায় অল্পের জন্য প্রাণে রা পেল ৫ শতাধিক যাত্রী। এই ঘটনায় লঞ্চের যাত্রীদের মাঝে ব্যাপক আতংক ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় মেঘনা নদীর আনন্দ বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে মোহনপুর লঞ্চঘাটে ভিড়িয়ে নৌ-পুলিশ ব্যাপক তল্লাশি চালানোর পর লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশ্যে পুনরায় যাত্রা শুরু করে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন, লঞ্চে কর্মরত ইন্সপেক্টর মজনু খান ও খোকন।
জানা যায়, চাঁদপুর-ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চ এম ভি মিতালী-(৪) ৫ শতাধিক যাত্রী নিয়ে ৯.৪০ মিনিটে চাঁদপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। লঞ্চের ইন্সপেক্টর মজনু খান যাত্রী মাসুদ আহমেদ ও যাত্রী চাঁদপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন মোঃ বাবর জানান, চাঁদপুর থেকে লঞ্চটি ছেড়ে কিছু দূর যাওয়ার পর আনন্দ বাজার এলাকায় লঞ্চটির দ্বিতীয় তলার ১১৫ নং কেবিনে তালাবদ্ধ অবস্থায় দুর্বৃত্তরা পেট্রোল দিয়ে আগুন দেয়। এ সময় কেবিনের আসবাবপত্রে আগুন লেগে যায় এবং আগুনের লেলিহান শিকায় প্রচন্ড ধুয়া কেবিন থেকে বের হতে থাকে। আগুন লাগার খবর পেয়ে লঞ্চের ৩য়/২য় ও ডেক শ্রেণীর যাত্রীরা আতঙ্কে চিৎকার শুরু করে এবং দিগি¦দিক ছুটা ছুটি করতে থাকে। ১১৫ নম্বর কেবিণটি আগুণ পুড়ে ভস্মিভূত হয়। প্রায় ১০ মিনিট আগুন স্থায়ী ভাবে জ্বলার পর লঞ্চের মাষ্টার খোকন কর্তব্যরত স্টাফরা পানি ও গ্যাস সিলিন্ডারে থাকা গ্যাস ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সম হয়। পরে লঞ্চটিকে চাঁদপুর নৌ-সীমানার মহনপুর নৌ-ঘাটে ভিড়ানের পর রাত ১১ টায় পুলিশ ব্যাপক তল্লাশী চালিয়ে পেট্রোলের কিছু আলামত পায়। পরে লঞ্চটিকে ১২ টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে পুলিশ পহরায় পাঠানোর ব্যবস্থা করে। লঞ্চটি মোহনপুর ঘাটে বিড়ানোর পর নৌ-পুলিশের এসআই আনোয়ার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লঞ্চটিতে ব্যাপক তল্লাশি চালায়। লঞ্চের দায়িত্বে থাকা কয়েকজন জানায়, যাত্রী সেজে লঞ্চের ১১৫নং কেবিন ভাড়া নিয়ে দূর্বৃত্তরা নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পেট্টোল ডেলে আগুন লাগিয়ে দিয়ে তালা মেরে বের হয়ে যায়। এই সময় যাত্রীরা আগুন দেখতে পেয়ে জানানোর পর জানালার গ্লাস ভেঙ্গে সাথে সাথে পানি ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে চাঁদপুর নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ মনির আহমেদ লঞ্চ কর্তৃপক্ষ, মাষ্টার ও যাত্রীদের মোবাইলে ফোন করে সম্পর্কে অবগত হন এবং মোহনপুরের নৌ-পুলিশ ফাঁড়িকে জানান। পরে নৌ-পুলিশ ঘাটে বিড়িয়ে তল্লাশি শেষে লঞ্চটি ছেড়ে দেয়।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর পুলিশ সুপার আমির জাফর জানান, ঘটনাটি শোনার পর সাথে সাথে তিনি মহনপুর পুলিশ ফাঁড়িকে ঘটনাটি দেখার জন্য নির্দেশ প্রদন করেন।
শিরোনাম:
বৃহস্পতিবার , ২৭ মার্চ, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১৩ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।