স্টাফ রিপোর্টার:॥ চাঁদপুর শহরের জোড়পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শতাধিক দোকানপাট যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে। এতে পুলিশসহ প্রায় ৫০জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ২২ রাউন্ডন ফাঁকাগুলি ছুড়ে। পুলিশ শুক্রবার দিনে অভিযান চালিয়ে ২১জনকে আটক করে। এর মধ্যে ১৮ জনকে কারাগারে প্রেরন এবং বাকী ৩ জনকে মুসলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়। এই ঘটনায় মডেল থানার এসআই আব্দুল হালিম সরকার বাদী হয়ে ’ ২১জনের নাম উল্লেখ ও ৫শ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে হিতৈাশী ক্লিানকের ২য় তলায় পিক ডিজিটালে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জাহিদ হোসেন এমিল ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রনির সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত ১১টাায় সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুর রহমান তৃপ্তির অনুসারী কর্মীরা জেলা সভাপতি শেখ মো. মোতালিবের বাসায় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এর পর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দুই গ্রুফ দফায় দফায় শহরের কুমিল্লা রোড, স্ট্যান্ড রোড, জোড় পুকুর পাড়, হকার্স মার্কেট, জেএম সেনগুপ্ত রোডে, বকুল তলায় প্রায় শতাধিক দোকান, ছাত্রলীগের অস্থায়ী কার্যালয় হোটেল ও বাসা বাড়ীতে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।
আহতদের মধ্যে পুলিশের এসআই আব্দুল হালিম, ওমর ফারুক, সদস্য মমিন মোল্লা, ইউছুফ আলী, ইসমাইল, তানজীল হাসানসহ প্রায় ২০জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
মডেল থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ২১জনকে আটক করে। এই ঘটনায় এসআই আব্দুল হালিম বাদী হয়ে নাম নির্দিষ্ট করে ২১ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৪০০/৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আসামীদেরকে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন ও তাদেরকে বহনকৃত পিকআপ ভ্যানে সামনে পিছে পুলিশের নিরাপত্তার গাড়ী দিয়ে আদালতে নেয়া হয়।
আসামীদের মধ্যে ফোরকান আহম্মেদ শায়েন (৩০), আনোয়ার হোসেন (২৯), মো. ফরহাদ (২৭), মো. মামুন (২৪), মো. মহীসন (১৮), রনি চন্দ্র দাস (২৭), মো. ফয়েজ (১৯), মো. হানিফ (৩৩), আবুল কালাম(৩০) রাহুতুল আশেকিন প্রকাশ প্রিন্স (৩৩), নয়ন (৩১), মাইনুল (৩২), সাইফুল ইসলাম (৩২), রাজু (৩০),মানিক পাটওয়ারী (৩৫) সোহেল(২৮), সোহাগ (৩০), আজম(২৭)কে আদািলতে প্রেরণ করা হয়। আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ জানান, আদিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’গ্রুফের দাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক গ্রুপ আরেক গ্রুফের উপর আক্রমন চালায়। এতে পরিস্থিতি খারাপ হলে পুলিশ ব্যাপক লাঠি চার্জ করে এবং ২২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। তারা দোকানপাট ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, কর্তব্যরত পুলিশের উপর আক্রমন করার অপরাধে ১৪৩/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৪৩৫ধারায় মামলা করা হয়েছে। বাকী আসামীদেরকেও আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।