কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চাঁদপুরেও জেলা জামায়াতে ইসলামী হরতাল কর্মসূচি পালন করেছে। জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর জেলার কোনো উল্লেখযোগ্য নেতাকেই রাস্তায় দেখা যায়নি। তারপরও গভীর রাত থেকে শহরে ও শহরতলীর আশপাশে অসংখ্য রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দেয়। চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ-রায়পুর সড়কের নিজ গাছতলা এলাকা থেকে শুরু করে ফরিদগঞ্জ পর্যন্ত শিবির কর্মীরা গভীর রাতে বন বিভাগের সরকারি অর্ধ শতাধিক গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে দেয়।
স্থানীয়রা জানায়, রাত ১২টার পর থেকে ভোররাতের যে কোনো সময় এই এলাকার শিবির কর্মীরা হরতাল অবরোধের সময় সরকারি গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে বিঘœ সুষ্টি করছে। গত ১ মাসের অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচিতে এই সড়কে কমপক্ষে প্রায় ৫ শতাধিক উন্নতমানের বিভিন্ন জাতের বড় বড় গাছ এই দুর্বৃত্তরা কেটে ধ্বংস করেছে। সকাল ১০টায় চাঁদপুর শহরের নতুন বাজার এলাকা থেকে ২০/২৫ জন ছাত্রশিবির কর্মী মিছিল বের করে। মিছিলটি নিয়ে ছায়াবাণী চৌরাস্তায় এসে বিভিন্ন দোকানপাটে ঢিল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে অনন্যা সুপার মার্কেটের দুলাল সুইট, হাজী মহসীন রোডের রূচি হোটেলে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে সুকেইচের কাচ্ ভাংচুর করে।
এসময় দোকানে থাকা ক্রেতা সাধারণ আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পরে। তারা দিগ্বিদিক ছুটা-ছুটি করতে থাকে। পুনরায় মিছিলটি এই এলাকা থেকে ঘুরিয়ে নতুন বাজার যাওয়ার সময় রূচি হোটেলে তারা তাণ্ডব চালিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে। একই সাথে ডিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে গিয়ে বেশ কয়েকটি হাত বোমার বিষ্ফোরণ ঘটায়। প্রত্যক্ষদর্শী রিক্সাচালক ও হামলার স্বীকার দোকানীরা জানায়, এরা হামলার পূর্বে জয় বাংলার শ্লোগান দিয়ে এই ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়। মূলতঃ এরা ছিলো ছাত্র শিবিরের ক্যাডার বাহিনীর সদস্য। তারা জয় বাংলার শ্লোগান দিয়ে ভাংচুর করে। এই দোষ আওয়ামী লীগের কাঁধে চাপানোর নীল নক্শা করেছে ছাত্র শিবির কর্মীরা।
শিরোনাম:
সোমবার , ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৫ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।