শরীফুল ইসলাম ।
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে চাঁদপুর শহরের মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপছে পড়া ভিড় ছিল লক্ষণীয়। রমজানের শুরু থেকেই টানা বৃষ্টি ও ক্রেতাদের উপস্থিতি না থাকার কারনে জমেও জমছিল না চাঁদপুরের ঈদ বাজার। কিন্তু রমজানের দশ দিন যেতে না যেতেই শহরের মার্কেটগুলোতে ক্রেতারা নেমে পড়েছেন ঈদের কেনাকাটা করার জন্য। ঈদ বাজারে এ বছর মার্কেটগুলোতে লক্ষ্য করা গেছে বাংলাদেশী পোষাকের চেয়ে দেশের বাইরের পোশাকের চাহিদা বেশি। শহরের মার্কেট ব্যবসায়ীরা কাপড় ও গার্মেন্টস মালের খসড়া সাজিয়ে বসে থাকলেও কোন লাভ হচ্ছে না ব্যবসায়ীদের। কারণ দেশী পোশাকের চেয়ে বাহিরের পোশাকের চাহিদা ভাল ক্রেতাদের। এ দিকে হাকিম প্লাজা, রেলওয়ে হকার্স মার্কেট, মীর শপিং কমপ্লেক্স, সাউথ প্লাজা, ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্স, অনন্যা সুপার মার্কেট, রূপসী মার্কেট এবং শহরের অন্যান্য যে সকল মার্কেট গুলো রয়েছে সে সকল মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের সমাগম ছিল লক্ষণীয়। শহরের নামি দামী মার্কেট গুলোর সাথে সাথে ফুটপাতের মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বেশ হরদমে বিক্রি করতে লক্ষ্য করা গেছে। চাঁদপুর শহরের বাইরের দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসা অসহায় ও দরিদ্র শ্রেণীর লোকজন শহরের মার্কেটগুলোতে পোশাকাদি কিনাকাটার জন্য আসেন। কিন্তু পোষাকাদিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেশি থাকায় হিমশিম খাচ্ছে দরিদ্র ক্রেতারা। দরিদ্র ক্রেতারা তারা মার্কেটে স্বল্প ও মোটামুটি মানের পোশাক কেনার জন্য মার্কেটে আসলেও দাম বেশি থাকার কারনে পোশাক কিনতে পারছেন না অনেকেই। মার্কেটে ক্রেতারা অভিযোগ করেন শুধু গত বছর নয় প্রত্যেক বছর ঈদ আসলেই যেন পোশাকের দাম হু হু করে বেড়ে যায়। যার কারণ অনেকেই দায়ী করছেন বাহিরের পোষাকগুলোর অধিক আমদানী। আমাদের দেশীয় পোষাক যদি মার্কেটে ভাল চাহিদা থাকত তাহলে দাম এতটা বৃদ্ধি পেত না। দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে বাইরের পোষাকগুলোর আমদানি বন্ধ করতে হবে। শপিংমলের দোকান ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রমজানের দশ দিন পার হতে না হতেই আমাদের বিক্রি বেড়ে গেছে। ক্রেতারা বাংলাদেশী পোশাক তেকে ইন্ডিয়ান পোশাকই বেশি কিনছেন। যার কারনে বাহিরের পোশাকগুলো আমরা মার্কেটে আমদানি বেশি করে থাকি। বাইরের পোশাগুলোর দাম বেশি থাকলেও অনেক ক্রেতারাই কিনছেন চাহিদা মত। শহরের মার্কেটগুলোতে ঘুরে পোশাকের দাম লক্ষ্য করা গেল, ছেলেদের পোশাক যেমন ঃ শার্ট ৭০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা, জিন্স পেন্ট ৮০০ টাকা থেকে ৪০০০ টাকা, গ্যাভাইডিং পেন্ট ৭০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা, টি শার্ট ৪০০ থেকে ১৮০০ টাকা, পাঞ্জাবী ১০০০ থেকে ৫০০০ টাকা, ছেলেদের জুতা – ৮০০ থেকে ৪০০০ টাকা, মেয়েদের পোশাক বিক্রি হচ্ছে, পাখি ড্রেস ৯০০ থেকে ৪০০০ টাকা, রাউন্ড প্লগ ১২০০ থেকে ৪০০০ টাকা, জিপসি ড্রেস ১৮০০ থেকে ৩০০০ টাকা, পার্টি প্রগ ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকা, লেহেঙ্গা ড্রেস ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা, মেয়েদের জুতা ১৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা, বাচ্চাদের পোশাক বিক্রি হচ্ছে সেটিং শার্ট পেন্ট ৮০০ থেকে ২০০০ টাকা, সেটিং টি শার্ট পেন্ট ৭০০ থেকে ১৫০০ টাকা, পাঞ্জাবী ৯০০ থেকে ২৫০০ টাকা, বাচ্চাদের জুতা ৮০০ থেকে ২৫০০ টাকা। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পোশাকাদির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। প্রতি বছর ঈদ এলেই ব্যবসায়ীরা পোশাকের দাম বাড়িয়ে দিয়ে থাকেন। তাই ঈদে পোশাকের দাম নাগালের মধ্যে রাখার জন্য মার্কেটে আসা সাধারন ক্রেতাদের দাবি।
শিরোনাম:
সোমবার , ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৮ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।