চাঁদপুরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের আলোচনাসভায় জেলা প্রশাসক মো. ইসমাইল হোসেন বলেছেন, বর্তমানে ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’ এই প্রবাদের কিছুটা হলেও ব্যত্যয় ঘটছে। কারণ আমাদের দেশে এখন আর আগের তুলনায় পর্যাপ্ত মাছ পাওয়া যাচ্ছে না, কারণ আমরা মাছের পর্যাপ্ত পরিচর্যা করতে পারি না এবং করতে চাইও না। অনাদিকাল থেকে আমাদের খাদ্যাভ্যাসে মাছের যে তালিকা ছিলো সেটি আজ বিলুপ্তির পথে। কারণ এখন আর সেই মাছ নেই। তবে প্রথমেই আমাদের যে কথাটি বেশি মনে রাখা দরকার তা হলো মৎস্য চাষের কথা। প্রথমত মৎস্য চাষ ও পরিচর্যার বিষয়ে আমাদের মানসিকতার আমূল পরিবর্তন দরকার। নিবিড় মনোযোগ দরকার। মাছের পেছনে যারা ধ্যান-জ্ঞান ব্যয় করে তাদের চিন্তার উন্নয়ন দরকার। যে কোনো েেত্রই সফল হতে হলে সাধনা ও একাগ্রতা থাকতে হবে। সরকার মৎস্যজীবীদের জন্যে ৩০% সুদে ঋণ দিচ্ছে। তবে সহজ শর্তে ঋণ পেলে মৎস্যজীবীরা আরো উপকৃত হবে। আমি সেজন্যে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলবো, যাতে মৎস্যজীবীরা সহজ শর্তে ঋণ পেতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা হোক।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্ত্ াসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে গতকাল বুধবার চাঁদপুরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. ইসমাইল হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ আলম সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম, জেলা কোস্টগার্ড কমান্ডার লে. এ এম হাবিবুর রহমান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. শাহাবুদ্দিন মিয়া, চাঁদপুর প্রেসকাব সভাপতি গোলাম কিবরিয়া জীবন, চাঁদপুর জেলা ক্যাব আহ্বায়ক জীবন কানাই চক্রবর্তী, শাহ আল মল্লিক, জাতীয় মৎস্যজীবী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মালেক দেওয়ান, যুগ্ম সম্পাদক তছলিম বেপারী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. ফিরোজ আহমেদ মৃধা। এর আগে সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের একটি বিশাল র্যালি বের হয়। র্যালিতে মৎস্যজীবী, মৎস্যচাষী, মৎস্যব্যবসায়ীগণ উপস্থিত ছিলেন।
শিরোনাম:
শনিবার , ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১২ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।