মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর সার্টিফিটেক তথা জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর সার্টিফিকেট তথা জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। গতকাল ২৯ ডিসেম্বর রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ নুরুল্লাহ নূরী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার বিভিন্ন কেন্দ্র প্রধানদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে জেএসসি ফলাফলের প্যাকেট হস্তান্তর করেন। ঘোষিত ফলাফলে বোর্ডের মেধা তালিকায় চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সেরা ২০-এ স্থান করে নিয়েছে। জেলার অংশগ্রহণকারী ২৮২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৫৭টি জিপিএ-৫ পেয়ে জেলা সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ঘোষিত জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলায় ৪৭টি বিদ্যালয়ের মোট ৫ হাজার ৫শ’ ৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। ৫ হাজার ২শ’ ৩৭ জন উত্তীর্ণ হয়। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৭৬ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ১৬টি বিদ্যালয় জিপিএ-৫ পায়নি এবং ১টি করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩টি বিদ্যালয়। ৭টি বিদ্যালয় শতভাগ পাস করেছে।
মতলব উত্তর উপজেলায় ৩৯টি বিদ্যালয়ের মোট ৪ হাজার ৪শ’ ৯৬ জন পরীক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় এরমধ্যে পাস করেছে ৪ হাজার ১১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩০৮ জন। এ উপজেলার ৫ টি বিদ্যালয় জিপিএ-৫ পায় নি এবং ৩টি বিদ্যালয় ১টি করে জিপিএ-৫ পেয়েছে। শতভাগ পাস করেছে ৩টি বিদ্যালয়।
হাইমচর উপজেলার ১২টি বিদ্যালয়ের ১ হাজার ১শ’ ৮৫ জন পরীক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাস করেছে ১ হাজার ৩ জন। জিপিএস-৫ পেয়েছে ২৮ জন। ৬টি বিদ্য্লায়ে একটিও জিপিএ-৫ পায়নি। ১টি বিদ্যালয়ে ১ টি মাত্র জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ উপজেলার ১২টি বিদ্যালয়ের কোনটিত্ইে শতভাগ পাস করেনি।
কচুয়া উপজেলার ৪১ টি বিদ্যালয়ের ৪ হাজার ৭শ’ ৯ জন পরীক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে ৪ হাজার ৪শ’ ৫১ জন পরীক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫শ’ ৪ জন। ৪টি বিদ্যালয়ে একটিও জিপিএ-৫ পায়নি। ৪টি বিদ্যালয়ে ১টি করে জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ উপজেলার ৮টি বিদ্যালয় শতভাগ পাস করেছে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫০টি বিদ্যালয়ের ৪ হাজার ৭শ’ ৪২ জন পরীক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৪ হাজার ১১জন উত্তীর্ণ হয়। ১৯২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। ১৩টি বিদ্যালয় থেকে একটিও জিপিএ-৫ পায়নি। ৪টি বিদ্যালয় থেকে ১টি করে জিপিএ ৫ পেয়েছে। এ উপজেলার ৭টি বিদ্যালয় শতভাগ পাস করেছে।
হাজীগঞ্জ উপজেলার ৩২টি বিদ্যালয়ের ৪ হাজার ২শ’ ২০ জন পরীক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৪ হাজার ১শ’ জন পাস করে। উপজেলায় মোট ৪৭৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। ৪টি বিদ্যালয় থেকে একটিও জিপিএ-৫ পায় নি। দু’টি বিদ্যালয়ে ১টি করে জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ উপজেলার মধ্যে শতভাগ পাস করেছে মাত্র ৪টি বিদ্যালয়।
মতলব দক্ষিণ উপজেলার ২৮ টি বিদ্যালয় থেকে ২ হাজার ৭শ’ ৮৭ জন জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২ হাজার ৬শ’ ৪৬ জন পাস করে। এ উপজেলায় ২শ’ ১৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। উপজেলার ৬টি বিদ্যালয় থেকে কোন জিপিএ-৫ পায়নি। দু’টি বিদ্যালয় থেকে ১টি করে জিপিএ-৫পেয়েছে। উপজেলার শতভাগ পাস করেছে ৮টি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা।
শাহরাস্তি উপজেলার ৩৩ টি বিদ্যালয়ের ৩ হাজার ৪১ জন ছাত্রছাত্রী জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২ হাজার ৬শ’ ২১ জন ছাত্রছাত্রী পাস করেছে। এরমধ্যে ১শ’ ৫০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ উপজেলার ৯টি বিদ্যালয় থেকে কোন জিপিএ-৫ পায়নি। ৬টি বিদ্যালয় থেকে ১টি করে জিপিএ-৫ পেয়েছে। উপজেলার ২টি বিদ্যালয় থেকে শতভাগ ছাত্রছাত্রী পাস করেছে।
শিরোনাম:
বুধবার , ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ২২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।