শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥ চাঁদপুরে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ৩ শিশুকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাটি এলাকায় অর্থ লক্ষ টাকায় বিনিময়ে ধামাচাপা দেওয়ার হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ঘটনার পরেই অভিযুক্ত শাহাজাহান তপাদার(৬০) এলাকা থেকে অন্য জায়গায় গিয়ে ঘা ডাকা দিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের বড় শাহাতুলী গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ড তপাদার বাড়িতে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার এসআই রাশেদ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসি ও শ্লীলতাহানীর চেষ্টার শীকার ৩ শিশুর পরিবারের সাথে কথা বলে ঘটনা সম্পর্কে জানেন। এসময় লম্পট শাহাজাহান তপাদারের ছেলে রাছেল ও তার লোকজন এসে ৩ শিশুর পরিবারের ঘটনাটি মিথ্যা তা বলার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। পুলিশ যদি ঘটনাটি জানতে পারে তাহলে ৩ পরিবারকে ক্ষতিপূরন বাবদ যে টাকা দিয়েছে তার দুই গুন টাকা দিতে হবে বলে হুমকী দেয়।
পুলিশের উপস্থিতিতে উভয় পরিবারের মাঝে বাকবিতন্ডার সৃিষ্ট হলে ৩ শিশু ও তাদের মায়েদের নিয়ে ঘটনাটি জানার জন্য থানার নিয়ে আসে।
কিন্তু লম্পট শাহাজাহান তপাদারের লোকজন থানায় এসে ৩ শিশু ও তাদের মায়েদের ঘটনাটি মিথ্যা বলার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এসময় দালালরা তাদের উদ্দেশ্যে বলেন এলাকায় থাকতে হলে এলাকার মানুষের কথা মত চলতে হবে। এই ঘটনাটি একবার সমাধান হয়েছে পরে পুলিশ কিভাবে জানতে পেরেছে। এ সব কিছুর হিসাব দিতে হবে নইলে যে টাকা দেওয়া হয়েছে তা ফেরত দিতে হবে।
জানা যায়, ২ নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের বড় শাহাতুলী গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ড তপাদার বাড়ির মৃত আবদুল হাই তপাদারের পুত্র শাহাজাহান তপাদার তার পাশের বাড়ির কবির তপাদার, বাবুল তপাদার ও আরিফ তপাদারের ৩টি শিশু কন্যাকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় তার বাড়িতে ও নদীর পাড়ে নিয়ে শিলতাহানীর চেষ্টা করে। কবির তপাদারের ৮ বছরের শিশু কন্যার শাররীক সমস্যা দেখা দেয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সর্ব প্রথম সে ঘটনাটি জানায়। সে বলে শাহাজাহান তপাদার টাকার লোভ দেখিয়ে ৩ জনকে বেশ কয়েকদিন নৌকা দিয়ে চরে নিয়ে গিয়ে জরিয়ে ধরে। সে ৩ জনকে ৫০/১০০ টাকা দিয়ে ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য বলে। এই ঘটনাটি জানাজানি হলে গত সোমবার এই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার সফিকুর রহমান সফিক কারি ও ফিরোজা মেম্বার উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে ঔষধ খরচ বাবদ ৩ শিশুকে অর্ধ লক্ষটাকা দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়। এসময় লম্পট শাহাজাহান তপাদারের কাছ থেকে ষ্ট্যোম্পে স্বাক্ষর রেখে দিয়ে সেটি মহিলা ফিরোজা মেম্বার তার কাছে রেখে দেয়।
ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে এলাকার সচেতন মহল লম্পট শাহাজাহান তপাদারকে আইনের আওতায় এনে প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানায়।
এলকাবাসিরা অভিযোগ করে বলেন, লম্পট শাহাজাহান তপাদার এর পূর্বে বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছে। সে ঐ ৩ শিশুর মায়েদেরও কু-প্রস্তাব দিয়েছে পরে ব্যর্থ হয়ে তাদের শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। লম্পট শাহাজাহান তপাদারের ৩ ছেলে বিদেশ থাকায় সে টাকার ক্ষমতা দেখিয়ে এলাকায় এই ধরনের কু-কর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সে এই ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এলাকার দালাল চক্রকে মোটা অংঙ্কের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে। আমরা এই লম্পট শাহাজাহান তপাদারের সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাই।
এদিকে পুলিশ ঐ ৩ শিশু ও মায়েদের থানায় নিয়ে আসলে তারা ভয়ে দালালদের কথামত ঘটনাটি সমাধান হয়েছে এবং তাদের কোন অভিযোগ নেই বলে জানায়। পরে পুলিশ তাদের কথা শুনে লিখিত রেখে তাদেরকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
এসময় থানা প্রঙ্গনে লম্পট শাহাজাহান তপাদারের পক্ষ নেওয়া বেশ কয়েকজন দালালকে ঘুরাফেরা করতে দেখা যায়।