শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥
* ট্রফিক অফিসে মুন্সি হিসেবে এক যুগ কর্মরত * মুন্সির মাধ্যমে চাঁদার টাকা বন্টন
* প্রতি সিএনজি ভর্তি ফি ২ হাজার টাকা, মাসহারা ৩শ’ টাকা * লাইসেন্স বিহীন গাড়ি মাসিক চাঁদা ৫শ’ টাকা *অটোরিস্কার মাসিক চাঁদা ১ হাজার টাকা *চোরাই সিএনজি ও মোটরসাইকেলে সয়লাভ পুরো জেলা
চাঁদপুরে ট্রাফিক পুলিশের বেপোরায়া চাঁদাবাজি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। টাকা দিলেই মিলছে অবৈধ গাড়ির বৈধ্যতা অন্যথায় টাকা না দিলে পোহাতে হচ্ছে মামলা সহ নানা জটিলতা। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রকাশ্য দিবালকে দেদারছে চলছে ট্রাফিক পুলিশের রমরমা চাঁদাবাজি। চাঁদাবাজির এই মহাউৎসবে তদারকিতে রয়েছে ট্রাফিক ওসি আবদুর রহমান ও ট্রাফিক অফিসের মুন্সি খায়ের। প্রতিদিন শহরের কালিবাড়ি, মুক্তিযোদ্ধা শড়ক, মিশন রোড, বাসস্টেন্ড, চেয়ারম্যান ঘাট, ওয়ালেসমোড় ও বাবুর হাট এলাকায় চলছে এই চাঁদাবাজি। এছাড়া বাসস্ট্যান্ড সিএনজি পাম্প ও মঠখোলা সিএনজি পাম্পের ভিতরে দাড়িয়ে থেকে ট্রাফিক পুলিশরা সিএনজি থেকে মাসোহারার টাকা আদায় করে। প্রতিদিনের আদায়কৃত টাকা মুন্সি খায়েরের কাছে জমা রাখে মাসোহারা উঠানোর দায়িত্বরত ট্রফিক পুলিশরা। সেই টাকা মাসের শেষে ট্রাফিক ওসি আবদুর রহমান ও ট্রাফিক অফিসের মুন্সি খায়ের সবার মাঝে বন্টন করে দেয়ায় খবর পাওয়া গেছে। চাঁদপুরে দায়িত্বে থাকা বেশ কয়েক জন ট্রাফিক জানায়, লাইসেন্স বিহীন সিএনজি ভর্তি ফি ২ হাজার টাকা ও মাসহারা ৩শ’ টাকা করে প্রায় ৬ হাজার গাড়ি থেকে আদায় করে। আর টাকা আদায়ের কাজ করেন ট্রফিক পুলিশ হুন্ডা জাহাঙ্গীর, কালো জাহাঙ্গীর,কুমিল্লার ইসমাইল, মাহাবুব, নাছির,সেলিম, আনোয়ার ,অরুন। এদের মধ্যে আনোয়ার পিকাপ ও ট্রাকের মাসহারা তুলে। নাছির তেলের ভাউচার ও বাকিরা সিএনজি এবং অটো রিস্কার টাকা উত্তলোন করে। ট্রফিক অফিসের মুন্সি খায়ের একেই থানায় দীর্ঘ এক যুগ যাবত কর্মরত থেকে চাঁদা উত্তলনের সেনাপতির দায়িত্ব্য পালন করে আসছেন। চাঁদার টাকা হিসেব ও বন্টন ছাড়া আর কোন কাজ নেই। চাঁদার টাকায় শহরের বিভিন্ন জায়গায় নামে বেনামে সম্পত্তি রয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে চাঁদাবাজির স্বর্গরাজ্যের সিংহাশনে বসে আছেন ট্রাফিক ওসি আবদুর রহমান। শারিরীক প্রতিবন্ধকতা থাকায় সারা দিন অফিসে বসেই রাজ্যের চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রন করেন।
বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী যানবাহন চালক জানায়, শয়তানের ধোকা থেকে বাঁচলেও ট্রফিক পুলিশের চাঁদাবাজি থেকে বাঁচা যায়না। রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হলেই গুনতে হয় চাঁদাার টাকা। সবার হাত থেকে রেহাই পেয়ে পালিয়ে গেলেও তার হাত থেকে পালানো যায় না।মাসহারার টাকা না দিলে গাড়ি ধরে থানায় নিয়ে সার্জেন্ট এর মাধ্যমে মামলা দিয়ে হয়রানি করে। সে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তার অন্য যায়গায় বদলী হলেও টাকা দিয়ে বদলী ঠেকিয়ে চাঁদপুরে থেকে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।
নতুন সিএনজি চলাচল করলেই ভর্তি ফি ২ হাজার টাকা মাসহারা ৩শ’ টাকা দিতে হয় তাদের। লাইসেন্স বিহীন গাড়ি মাসিক চাঁদা ৫শ’ টাকা ও অটোরিস্কার মাসিক চাঁদা ১ হাজার টাকা নিচ্ছে তারা। চোরাই সিএনজি ও মোটরসাইকেলে চলাচল শহরে দিনদিন বেড়েই চলছে। টাকা দিলেই এসব গাড়ি চলাচলের অনুমতি দিচ্ছে ট্রফিক পুলিশ। আর এ সকল অবৈধ যানবাহন চাঁদপুরে চলাচলের কারনে যানজট বেড়েই চলছে।
এ ব্যাপারে ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর আবদুর রহমানের কাছে চাঁদাবাজির বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, আইজি সাহেব আসছেন তাকে নিয়ে ব্যাস্ত রয়েছি । এব্যাপারে পরে কথা হবে।