প্রতিনিধি
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো. ইসমাইল হোসেন ও হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনা আফরোজাসহ ৪ জনকে কারণ দর্শাতে হাইকোর্টের নির্দেশ। অন্য দুই জন হলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সহযোগী প্রতিনিধি কর্মকর্তা ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-কর্মকর্তা।
এই ৪ জনকে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপ্রতি সালাম মাসুদ চৌধুরী এবং মো. হাবিবুল গণি। গত ১৫ এপ্রিল মহামান্য আদালত জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লালকে সাময়িক বরখাস্তে রিটের শুনানী অনুযায়ী এই নির্দেশ প্রদান করেন। একই সাথে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছে চেয়ারম্যান বিল্লালকে দায়িত্বভার গ্রহণের আদেশ দেন।
জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০ নং গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন বেলাল সরকার বিরোধী কর্মকান্ডের দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর হাইকোর্টের নির্দেশে পুনরায় দায়িত্বভার গ্রহন করেছেন।
রিট পিটিশনে দেখা যায়, এর পূর্বে ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মামলা শিকার হয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এর বৈধতা চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন হাইকোর্টে গত ১০ এপ্রিল একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন।
মহামান্য আদালত গত ১৫ এপ্রিল রিটের শুনানী অনুযায়ী তাকে পূনরায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছে চেয়ারম্যান বিল্লালকে দায়িত্বভার গ্রহণের আদেশ দেন। সেই সাথে হাজীগঞ্জের ইউএনও, ডিসিসহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ২ কর্মকর্তাকে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করেন। উচ্চ আদালতের রায়ে আর কোন বাধা না থাকায় বিল্লাল হোসেন গত ১৫ এপ্রিল থেকে যথাযথ ভাবে পরিষদের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসাইন বেলাল বলেন, ১৫ এপ্রিল হাইকোর্ট আদেশ প্রদান করার পর আজ শনিবার পরিপত্র এসে পৌছেছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনা আফরোজার কাছে কারণ দর্শানোর প্রসঙ্গে বলেন, রিট পিটিশনের কপিটি হাতে পেয়েছি। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যেই হাইকোর্টে কারণ দর্শানোর জবাব দেবো। তবে চেয়ারম্যান বিল্লাল দায়িত্ব পালনে আর কোন বাধা নেই।