শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥
চাঁদপুর পুরানবাজারে কাজের মেয়ে তানজিলা আক্তার (৯) কে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি জোস্নাকে ২ দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। হত্যার ঘটনার আটক জোস্না সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুরানবাজার পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। বুধবার দুপুর ১২ টায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর আলম আসামিকে জেলা কারাগার থেকে নিয়ে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাঁদপুর মডেল থানায় নিয়ে আসে। আসামীদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকান্ডের মূল ঘটনা বেড়িয়ে আসবে বলে ধারনা করছে অনেকে। এদিকে মূল হোতা হাকি গাজি ও পরকিয়া প্রেমিক জোস্নার বড় বোন পারুল পলাতক থাকায় পুলিশ তাদের আটক করতে পারেনি। হত্যার ঘটনার সময় রাজ সাক্ষী নিহত তানজিলার খেলার সাথী জোস্নার ছোট মেয়ে নূসরাত এখোনো উধাও রয়েছে। তানজিলার লাশ ময়না তদন্ত শেষে গত বৃহম্পতিবার সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের বাঁশগাড়ি চরে পারিবারিকভাবে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে হত্যাকান্ডের ঘটনার অনেকদিন অতিবায়িত হলেও ঘটনার মূল হোতা হাকি গাজি ও পারুল বেগম এখনও আটক না হওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। হাকি জমাদার ও পারুল বেগম আটক হলে ঘটনার গিট খুলবে বলে ধারনা এলাকাবাসীর। এদিকে ঘটনার পরপরই হাকি গাজী ও পারুল বেগম চাঁদপুরের পাশ্ববর্তী চরাঞ্চলে লুকিয়ে রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। ঘটনার রাজসাক্ষী জোস্না ও নান্টুর ছোট মেয়ে নুসরাতকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনা ফাঁস করে দেওয়ার ভয়ে নুসরাকে তার খালা হত্যার মূল হোতা পারুল বেগমে লুকিয়ে রেখেছে। জোস্নার মেয়ে নূসরাতকে উদ্ধার করে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার ঘটনার জট খুলবে ও মূল হত্যাকারীদের আটক করতে পারবে পুলিশ।
উল্লেখ্য, নিহত তাসজিলা আক্তারের মা বেগম দীর্ঘ ৯ মাস পূর্বে তার খালাতো বোন জোস্নার কাছে মেয়েকে স্কুলে পড়াশুনা করানোর স্বর্তে কাজে দেয়। গত সোমবার বিকেলে তাছলিমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে টয়লেটের ভিতরে লুকিয়ে রাখার পর তার লাশ সেখান থেকে বের করে রাতের আধাঁরে চরে নিয়ে গুম করার পায়তারা করে। তানজিলা আক্তার (৯) কে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় ঘাতকদের বিচার ও ফাসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পুরানবাজার মার্চ্চেন্টস একাডেমীর ছাত্রছাত্রীরা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মিছিলটি স্কুল থেকে বের হয়ে পুরানবাজার পুলিশ ফাড়ির সামনে এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে স্কুল ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত শেষে ঘাতকদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে বলে আশ্বস্ত করে পুরানবাজার পুলিশ ফাড়ি।