চাঁদপুর নিউজ রিপোর্ট
দেশের শীত প্রবণ জেলাগুলোতে ইতোমধ্যে শীত জেঁকে বসলেও চাঁদপুর জেলায় এখনো শীত সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। এবারের আবহাওয়া গত বছরের চেয়ে অনেকটা বিপরীত। গত বছর পৌষের শুরু থেকেই হাড় কাঁপানো শীত পড়েছে। পৌষের মাঝামাঝি সময়ে তখন মাঘের শীতকেও হার মানিয়েছিলো। আর পৌষের শেষ দিকে এসে দেশের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো। গত বছর ২৬ পৌষ দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি ছিলো দিনাজপুরের তাপমাত্রা। আর তখন চাঁদপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চাঁদপুরের জন্য এটিও ছিলো স্মরণকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সে তুলনায় বলতে গেলে এ বছর এখনো চাঁদপুরে শীত পড়েনি। যদিও পৌষ মাস শেষের দিকে।
ষড় ঋতুর দেশ বাংলাদেশে পৌষ ও মাঘ এ দু� মাস হচ্ছে শীতকাল। তবে অগ্রহায়ণ মাস থেকে শীতের আবহ দেখা দেয়। এবার পৌষের শুরুর দিকে শীত তেমন একটা পড়েনি। পৌষের মাঝামাঝি সময় থেকে শীত পড়তে শুরু করেছে। আজ ২৬ পৌষ। পৌষ মাস শেষ হতে আর মাত্র ক�দিন। সে হিসেবে চাঁদপুরে শীত এখনো সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। এখনো হাড় কাঁপানো শীত পড়েনি। তবে তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমছে। চাঁদপুর জেলা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ৮ জানুয়ারি, ২৫ পৌষ মঙ্গলবার চাঁদপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ ছিলো ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন ৭ জানুয়ারি সর্বনিম্ন ছিলো ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ ছিলো ২৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৩ জানুয়ারি ছিলো সর্বনিম্ন ১৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর সর্বোচ্চ ছিলো ২৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এভাবে দেখা যায় যে, পৌষ মাস শেষ হচ্ছে, মাঘ মাস এগিয়ে আসছে আর তাপমাত্রাও ক্রমান্বয়ে কমছে। তবে কয়েক দিনের মধ্যে শৈত্য প্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন শীত আরো ঘনীভূত হবে। তাই এবার মাঘ মাসে শীত জেঁকে বসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ দিকে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার জেলার জন্য সরকারিভাবে ৩ হাজার ৯শ� ২৬টি কম্বল বরাদ্দ এসেছে। এগুলো প্রত্যেক উপজেলায় ইতিমধ্যে বিতরণও হয়ে গেছে।