শহর প্রতিনিধি
চাঁদপুরে তিন ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে গাড়ির মালিক ও চালকরা। এদের বিরুদ্ধে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, চাঁদপুরের ট্রাফিক পুলিশের টিআই আব্দুর রহমানের নির্দেশে এটিএসআই (হাবিলদার) তৈয়ব ও ফারুক সিএনজি স্কুটার এবং পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে প্রতি মাসে ২/৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। গাড়ির মালিক ও চালকরা মামলা এবং গাড়ি আটকের ভয়ে তাদের কথামতো মাসিক মাসোহারা দিয়ে থাকেন। আর এ টাকা তারা তিন ট্রাফিক পুলিশ মিলে বিভিন্ন দপ্তরে ভাগ বাঁটোয়ারা করে দিয়ে থাকে। অপরদিকে এটিএসআই (হাবিলদার) তৈয়ব ও ফারুক প্রতিদিনই বিভিন্ন যানবাহন আটক করে তাদের নিকট থেকে ২/৩ তিন হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। চালকরা তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদের গাড়ি আটক অথবা মামলার ভয় দেখিয়ে থাকে। উপায়ান্তর না পেয়ে চালকরা পরিচিত অন্য গাড়ির চালক অথবা গাড়ির মালিককে ফোন করে টাকা এনে দেয়। এমনকি তাদের দাবিকৃত পুরো টাকাটা দেয়ার জন্যে কোথায়ও টাকা না পেলে হাবিলদারদের হাতে পায়ে ধরে কিছু টাকা কম দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে যায়। তারা প্রকাশ্যে জনসম্মুখে এভাবে নীরব চাঁদাবাজি করে গেলেও প্রশাসনের কারো মাথা ব্যথা নেই। মনে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তিন ট্রাফিক পুলিশের নিকট থেকে উৎকোচ পেয়ে থাকেন।
জানা যায়, এরা সিএনজি স্কুটার, ট্রাক্টর থেকে মাসিক চাঁদা হিসেবে নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকে। আর যে সকল গাড়ির মালিক তাদের দাবিকৃত টাকা না দেয় তাদের গাড়িগুলোর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে থাকে। অথবা কাগজপত্র আটক করে রাখে। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক�জন সিএনজি স্কুটার চালক জানান, প্রতি মাসের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মাসিক টাকা দিয়ে দিতে হয়। না হলে গাড়ি আটক করে নিয়ে যায় এবং গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেয়। বাধ্য হয়ে আমরা টাকা দিয়ে থাকি। অনেক সময় টাকা একদিন পরে দিবো বললে তারা গালমন্দ করে থাকে।
এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে টিআই আব্দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, লাখ লাখ টাকা উত্তোলন করলে আপনারা ধরিয়ে দিন। এদের চাঁদাবাজির হাত থেকে রক্ষা পেতে গাড়ির মালিক ও চালকরা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।