আড়াইশ’ শয্যার চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে শীতের তীব্রতায় ঠাণ্ডাজনিত রোগ, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ায় শিশুরা ও স্ট্রোকে বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপে গত তিনদিনে ৩ শিশুসহ ১১জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৮ জন বয়স্ক নারী- পুরুষ ঠাণ্ডাজনিত স্ট্রোকে এবং ৩জন শিশু অন্য রোগে মারা যায় বলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। গত ২১ ডিসেম্বর একদিনে ২শিশুসহ মারা যায় ৭ জন। এ ছাড়া ২৪ ডিসেম্বর ২৭০ জন ভর্তিকৃত রোগীর চিকিৎসা চলছে। আর বহিঃবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে ৮০৯ জন। শিশু ওয়ার্ডে ৫৩ জন শিশু ও পুরুষ ওয়ার্ডে ৬৩ ভর্তি হয়।
শয্যা সঙ্কটে শিশুদের মেঝেতে বিছানা পেতে রাখা হচ্ছে। অঙ্েিজন সঙ্কট ও প্রয়োজনের সময় চিকিৎসক পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন সেবা নিতে আসা শিশু রোগীর অভিভাবকেরা।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ আসিবুল আহসান আসিব জানান, ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্ক স্ট্রোক রোগীর সংখ্যাই এখন বেশি আসছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২১ থেকে ২৩ ডিসেম্বর স্ট্রোকে মারা যান লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর চরবংশী গ্রামের রুহুল আমিন (৫৫), নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ চরবাতি গ্রামের শ্রুতি বিশ্বাস (৫৬), চাঁদপুর সদর উপজেলার কুমারডুগির শামছুল হক মিজি (৬০), সুবিদপুরের শহিদুল্লা পাটওয়ারী (৭৫), মহামায়া করবন্দ গ্রামের কুলছুমা (৬৫), শাহতলীর হনুফা বেগম (৯০), লক্ষ্মীপুর জেলার রসুলপুর বাজার এলাকার মনির আহম্মদ (৯৫) ও চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার পাওয়ার হাউজ এলাকার আলী হোসেন (৭০)।
এছাড়া চাঁদপুর শহরের গুয়াখোলা এলাকার জনৈক জাহাঙ্গীরের মেয়ে দুধের শিশু তামান্না, সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের ঝন্টু সরকারের ছেলে ৫ দিনের শিশু বাবু ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর মেহেরুন গ্রামের পবনের ১ বছর ৩ মাস বয়সী ছেলে আপন মারা যায়।
উল্লেখ্য, টানা ৪ দিনের শৈত্যপ্রবাহে দেশের বিভিন্ন স্থানের ন্যায় চাঁদপুরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তীব্র শীত পড়ায় ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। সাথে স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীও বেড়েছে। অব্যাহত শীতে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক শিশু ও বৃদ্ধ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।