প্রতিনিধি
চাঁদপুর শহরে দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে এক ব্যক্তিকে জিম্মি করে কতিপয় যুবকরা মুক্তিপন দাবি করেছে। জিম্মি করে রাখার ৫ ঘণ্টা পর চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ আবাসিক হোটেল থেকে ওই ব্যাক্তিকে উদ্ধার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করে আনা হয়েছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, বরিশাল সদর থানার হরিণাফুলিয়া গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির আঃ ওয়াদুদ ভূঁইয়ার ছেলে মোঃ বাপ্পি ভূঁইয়া (৩২) চাঁদপুরে করিম-৫ তেলের ট্যাঙ্কারের কোয়াটার মাস্টার পদে চাকুরি করার জন্য বরিশাল থেকে রকেটযোগে ভোররাত ৫ টায় চাঁদপুর রকেট ঘাটে এসে নামে। সেখানে নাস্তা খেয়ে ভুলবশতঃ বাপ্পি বিকল্প লঞ্চঘাট এলাকায় চলে যায়। সেখানে গিয়ে করিম ৫ ট্যাঙ্কারের হেড সুকানির সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে। তখন কোড়ালিয়া রোড এলাকার কালা রণি, হাওলাদার বাড়ির মহসিনসহ আরো ২ যুবক বাপ্পিকে বলে আমাদেরকে সুকানি পাঠিয়েছে আপনাকে নিয়ে যেতে। এই কথায় বাপ্পি সরল বিশ্বাসে ওই যুবকদের সাথে কালিবাড়ি শপথ চত্ত্বর চলে আসে। সকাল অনুমান ৬টায় রণিসহ অপর যুবকরা বাপ্পি ভূঁইয়াকে মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের তৃতীয় তলার হোটেল রিলাক্সের ১০৩ নং কক্ষে এনে আটকিয়ে রাখে। তখন জিম্মিকারী যুবকরা বাপ্পির কাছে মুক্তিপন হিসেবে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেছে বলে জিম্মি হওয়া বাপ্পি ভূঁইয়া জানায়। সে আরো জানায়, রনি নামের যুবকটি তার কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে মোবাইলের কল লিস্ট ধরে বাপ্পির লোকজনের কাছে মুক্তিপণের টাকার জন্য হুমকি দেয়। এমনকি বাপ্পির ভগ্নিপতিকে টাকা পাঠানোর জন্য রনি ০১৬৮৪৩৬৫৬১৯৩ বিকাশ নাম্বার দেয়।সকাল ১০টার মধ্যে বাপ্পির ভগ্নিপতি ওই বিকাশ নাম্বারে ৩ হাজার টাকা পাঠায়। এমনকি চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশকে অবগত করে যে, তার শ্যালককে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। জিম্মি করার ৫ ঘণ্টার মাথায় চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক হামিদুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে শহরের শপথ চত্ত্বর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের ৩য় তলার আবাসিক হোটেল রিলাক্সের ১০৩ নং থেকে জিম্মি করে রাখা বাপ্পি ভূঁইয়াকে উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হোটেল রিলাক্সের ম্যানেজার ফরিদগঞ্জ উপজেলার মনতলা গ্রামের আব্দুল হাই (৬৫)-কে আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, রণি, মহসিনসহ ৭/৮ যুবক দীর্ঘদিন ধরে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কের শহীদ মিনার সংলগ্ন ব্রিজ এলাকা থেকে শুরু করে শহরের সর্বত্র ছিনতাই, মাদক বিক্রি, মাদকসেবন ও নারীদের ইজ্জত হননের মতো নানা ধরণের অপরাধ করে থাকে। এদের দিনের বেলায় তেমন একটা দেখা না গেলেও সন্ধ্যার পর থেকে শুরু করে রাতে বেপরোয়া হয়ে উঠে। বরিশাল থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে যাতায়াতকারী নাইট কোচের যাত্রীরা রাস্তায় চলাচল করলে এদের ছিনতাইয়ের রোষানলে পরতে হয়।
চাঁদপুর মডেল থানার সেকেণ্ড অফিসার মনির আহমেদ জানান, জিম্মির ঘটনায় জড়িত যুবকদেরকে আটক করতে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ঘটনার পর থেকে পুলিশ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে শহরের অভিযানে রয়েছে। প্রকৃত অপরাধীরা কোনোভাবেই পার পাবেনা।
শিরোনাম:
শনিবার , ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৬ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।