স্টাফ রিপোর্টার: ॥ চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের ইসলামপুর গাছতলা গ্রামে জোরপূর্বক জমি দখলের সময় বসতঘর ঘর ভাংচুর ও যুবতীর বিয়ের জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় দখলকারীদের হামলায় একই পরিবারের ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের আমির শেখ বাড়িতে। আহতরা হলেন ওই বাড়ির শহিদ খানের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৬০) ,ইউসুফ শেখের ছেলে শাহআলম শেখ (৩০), মৃত কাশিম শেখের ছেলে আবুল শেখ (৭০), ও কাশিম শেখের স্ত্রী মাসুমা খাতুন (৮০)। এদের মধ্যে ১জনের অবস্থা আশংকাজনক দেখে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৬ জনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে এবং মঙ্গলবার দুপুরে আহতদের পরিবারের হাফেজ শুক্কুর শেখের স্ত্রী রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আহতদের স্বজনরা জানায়, গাছতলা গ্রামের আমির শেখ গংদের সাথে একই এলাকার বাচ্চু শেখ গংদের সাথে বাড়ির ৪০ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। তারা বলেন, আমাদের এ বিরোধ মিমাংশার জন্য বাচ্চু শেখ জেলা যুবলীগের আহবায়ক কালু ভূইয়াকে মুরব্বী মেনে কিছুদিন পূর্বে চাঁদপুর মডেল থানায় সালিশ বসান। কিন্তু সে সালিশ বৈঠক আমাদের মন মতো না হওয়ায় আমরা তাদের বিরুদ্ধে চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করি। তার সূত্র ধরে বাচ্চু শেখ, সাইফুল শেখ, হারু শেখ, সেলিম শেখ ও খোকন শেখ গংরা ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার সকালে প্রায় ১,শ জন লোক নিয়ে আমাদের জমি দখল করতে যায়। এসময় তাদের বাঁধা প্রদান করলে তারা আমাদের বসতঘর ভাংচুর এবং বিল্ডিয়ের জানালার গ্লাসসহ ঘরের অনেক আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এসময় তারা বসত ঘরে থাকা আবুল শেখের মেয়ের বিয়ের জন্য কেনাকাটা করে রাখা সব ধরনের জিনিসপত্র ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এদিকে এমন ঘটনার খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (সিপিআই) হারুনুর রশিদ, এস আই রাশেদুজ্জামান, এস আই মফিজুল ইসলাম ও এ এস আই নিজাম উদ্দিন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ঘটনাস্থল থেকে এস আই মফিজুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে মোঃ মূসা (৩৭), মিলন ঢালী (৫০), খোকন শেখ (৫০), মিজান মিজি (৪৫), এবং ফয়সাল, জাহাঙ্গীর এ ৬ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় পুলিশ পাহাড়ায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ওই এলাকায় জমি দখল করার উদ্দেশ্যে বসতঘর ভাংচুর এবং লোকজন আহত হওয়ার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সেখান থেকে এস আই মফিজুল ইসলাম ৬ জনকে আটক করেছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে এবং আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা পক্রীয়াধীন রয়েছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত বাচ্চু শেখের সাথে কথা বলতে চাইলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তার পরিবারের নারী সদস্যরা জানিয়েছেন বাচ্চু শেখ কোথায় আছে তা তারা বলতে পারবেন না। তবে তারা বসতঘর ভাংচুর করেননি বলেও ঘটনার কথা অস্বীকার করেন।