স্টাফ রিপোর্টার:॥
চাঁদপুরে বখাটে যুবক সুমন বেপারী ধর্ষনে ব্যর্থ হয়ে গৃহবধুর স্তন সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে মারাত্বক জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) শহরের যমুনা রোড টিলা বাড়ি এলাকায় রাত আনুমানিক ৩ টায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর মডেল থানায় লঞ্চ সুপারভাইজার শওকত বেপারীর ছেলে সুমন বেপারী (২৪) সহ ৩ জনকে আসামী করে গৃহবধুর স্বামী জেলে হারুন মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজেষ বড়–য়া।
গৃহবধুর সাথে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানায়, আমার স্বামী নদীতে মাছ শিকারে যাওয়ার পর মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৩ টায় চাঁদপুর নৌ-টার্মিনালের লঞ্চ সুপারভাইজার শওকত বেপারীর ছেলে সুমন বেপারী তার সাথে থাকা ৩-৪ জন সন্ত্রাসী যুবক সহ আমাদের মাটির বসত ঘরে সিঁধ কেটে প্রবেশ করে। তারপর আমার মুখে চাপ দিয়ে ধরে আমাকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় আমি চিৎকার দিলে সুমন বেপারী তার হাতে থাকা ছুরি দেখিয়ে আমাকে ভয় দেখায়। তারপরও আমি চিৎকার দিলে সুমন বেপারী আমার স্তন সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।
এ সময় গৃহবধু বখাটে যুবক সুমনকে আটকে রাখার চেষ্টা করলে সে ঘরের দরজার খিল ভেঙ্গে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী তাৎক্ষনিক ঘটনাটি জানতে পেরে রক্তাক্ত জখম আহত গৃহবধুকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এলাকার প্রতিবাদি মহিলা ও পুরুষরা দুপুরে দলবদ্ধ হয়ে চাঁদপুর পুলিশ সুপার শামছুন্নাহারের কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা কর্তব্যরত এসআই এলাকাবাসী ও গৃহবধুর স্বামী হারুনকে চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করার জন্য পাঠিয়ে দেয়।
অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁদপুর মডেল থানার এসআই রাজেষ বড়–য়া তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর চাঁদপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি। এলাকার শত শত মহিলা ও পুরুষ একত্রিত হয়ে বখাটে যুবক সুমনের বিচারের দাবিতে স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াস ও কাউন্সিলর শাহ আলম বেপারীকে ঘটনা সম্পর্কে অবগত করেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গৃহবধু চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে।