শওকত আলী
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ৬ দিন অতিবাহিত হলেও চাঁদপুর থেকে ঢাকা অভিমুৃখে সকাল থেকে সন্দ্ব্যা পর্যন্ত প্রতিটি যাত্রী বাহী লঞ্চ ধারণ ক্ষমতার তিন / চার গুণ যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাচেছ। ঈদের পূর্বে চাঁদপুর ছাড়াও লক্ষীপুর,নোয়াখালী,রায়পুর,রামগঞ্জ ও পাশর্^বতী জেলা শরিয়তপুরে শত-শত যাত্রী নাড়ির টানে প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে এসেছেন।
ঈদ শেষে কর্মস্থলে যোগদান করতে রোববার সন্দ্ব্যা পর্যন্ত চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে যাত্রীদের ভিড় একটুও কমেনি। সকল যাত্রী নিয়স্ত্রণ হারিয়ে ছুটছে লঞ্চে উঠতে। শিশু,মহিলা,পুরুষ ও যুবকরা প্রতিটি লঞ্চে উপচেপড়া ভিড় থাকার পরও তারা ৩/৪ গুণ যাত্রী হয়ে জীবনবাজি রেখে লঞ্চে উঠছে রোববার সন্দ্ব্যায় লঞ্চ ঘাটে গিয়ে দেখা যায় প্রতিটি লঞ্চে কেবিন,প্রথমশ্রেনীর,বিজনেস শ্রেনী, ২য় শ্রেনী ,তৃতীয় শ্রেনীর আসন ভরপুর হয়ে যাওয়ার পরও ডেকে – মেঝেতে বসে ও ছাদের উপর উঠে যাত্রীরা গন্তব্যে যাত্রা করছে। নৌ-পুলিশ,কোস্টগার্ড,কমিউনিটি পুলিশ ও বিআইডব্লিউ টি এ কর্তৃপক্ষের সামনেই ধারন ক্ষমতার তিন/,চার গুণ যাত্রী নিয়ে লঞ্চ গুলো ছেড়ে যাচ্ছে। ঢেউ ও ¯্রােতের তোড়ে নদীর মাঝখানে আসলে যাত্রীর ভারে টলমল করতে থাকে। যে কোন সময় লঞ্চ এক দিকে কাত হয়ে ডুবে যেতে পারে। এতে করে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা বিরাজ করছে।
চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চ গুলো হচেছ,সোনার তরী, বোরাক,ঈগল,বোগদাদিয়া,প্রিন্স অব রসেল, রফ.রফ,ইমাম হাসান,আবে জমজম,মেঘনা রানী,ইমাম হাসান-২, সোনার তরী,বোগদাদিয়া-৭ও ইমাম হাসান-২। এ ছাড়া ও অন্য লাইনের ৩টি স্পেশাল লঞ্চ ছেড়ে গেছে বলে চাঁদপুর নৌ-বন্দর কর্মকতা মো: মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক লীগ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতিও লঞ্চ মালিক প্রতিধিনি বিপ্লব সরকার জানান,স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশী যাত্রী এখন যাচেছ। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে জাহাজ নির্ধারিত সময়ের পূর্বে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ছাদে যাত্রী নিচেছনা। ভিতরে বেশী যাত্রী নেওয়া হচেছ।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর নৌ-বন্দর কর্মকতা মো: মোস্তাফিজুর রহমান জানান,লঞ্চ গুলো ধারন ক্ষমতার তিন/চার গুন যাত্রি বহন করছে তা সঠিক নয়। ওভার লোড হচ্ছে। তবে সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। । তবে মোবাইল কোটের মাধ্যমে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া লঞ্চকে জরিমানা করবো।