চাঁদপুরে ধারন ক্ষমতার ৩/৪ গুন যাত্রী নিয়ে ঝুকির মধ্যে লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে যাচেছ:
দেখার যেন কেউ নেই: বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা
স্টাফ রিপোর্টার:: চাঁদপুর হতে অধিকাংশ যাত্রী বাহী লঞ্চ গুলো ধারন ক্ষমতার ৪গুন যাত্রী নিয়ে ঝুকির মধ্যে দিয়ে ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করছে। এতে করে যে কোন মূহুতে লঞ্চ গুলো নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ¯্রােতের কবলে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্বাবনা বিরাজ করছে। প্রশাসনের সামনে যাত্রী বোঝাই করলেও দেখার যেন কেউ নাই।
সরোজমিনে গতকাল মঙ্গলবার চাঁদপুর নৌ-টামিনালে গিয়ে দেখা যায়,পবিত্র ঈদুল আযহার ৩ দিন অতিবাহিত হলেও চাঁদপুর থেকে ঢাকা অভিমুৃখে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রতিটি যাত্রী বাহি লঞ্চ ধারন ক্ষমতার তিন গুন ও চার গুন যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর থেকে ছেড়ে ঢাকা যাচেছ। ঈদের পূর্বে চাঁদপুর জেলা ছাড়া লক্ষীপুর,নোয়াখালী,রায়পুর,রামগঞ্জ ও পাশর্^বতী জেলা শরিয়তপুরে শত-শত যাত্রী নাড়ির টানে প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে এসেছে। এবার ঈদের ছুটির রোববার শেষ হওয়ার পর সোমও মঙ্গলবার যাত্রীরা ঈদের পর পর তাদের কর্মস্থলে যোগদান করতে বিলম্ব করেছে।
যার ফলে গতকাল সোমবারও মঙ্গলবার কর্মস্থলে অফিস,আদালত,ব্যাংক,বীমাও গার্মেন্টেসে যোগদান করতে এক সাথে সকল যাত্রী নিয়স্ত্রন হারিয়ে ছুটছে। শিশু,মহিলা,পুরুষ ও যুবকরা তাদের জীবনের দিক বিবেচনা না করে প্রতিটি লঞ্চে উপচে পড়া ভিড় থাকার পরও তারা ভীর উপেক্ষা করে৩/৪ গুন যাত্রীর মধ্যে যাত্রী হয়ে জীবন বাজি রেখে লঞ্চে উঠছে,কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য। প্রতিটি লঞ্চে কেবিন,প্রথমশ্রেনীর,ভিজনেছ শ্রেনী, ২য় শ্রেনী ,তৃতীয় শ্রেনীর আসন ভরপুর হয়ে যাওয়ার পরও ডেকে – মেঝেতে বসে ও ছাদের উপর উঠে যাত্রীরা গন্তব্যে যাত্রা করছে। এ সব যাত্রী চাঁদপুর ছাড়াও পাশর্^বতী জেলা নোয়াখালী,লক্ষীপুর,রায়পুর,রামগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদপুর এসে নৌ-পথে ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করছে,সময় বাঁচানোর জন্য। নৌ-পুলিশ,কোস্টগার্ড,কমিউনিটি পুলিশ ও বিআইডব্লিউ টি এ কর্তৃপক্ষের সামনে ধারন ক্ষমতার তিন,চার গুন যাত্রী নিয়ে লঞ্চ গুলো ঢেউ ও ¯্রােতের তোরে নদীর মাঝখানে আসলে যাত্রীর ভারে টলমল করতে থাকে। যে কোন সময় লঞ্চ এক দিকে কাত হয়ে ডুবে যেতে পারে। এতে করে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক লীগ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি বিপ্লব সরকার জানান,স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশী যাত্রী এখন যাচেছ। অতিরিক্ত যাত্রীর কারনে জাহাজ নির্ধারিত সময়ের পূর্বে ছেড়ে দেওয়া হচেছ। ছাদে যাত্রী নিচেছনা। অন্য সময়ের চাইতে অতিরিক্ত ২/৩গুন যাত্রী ভিতরে নেওয়া হচেছ।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর নৌ-বন্দর কর্মকতা মো: মোস্তাফিজুর রহমান জানান,লঞ্চ গুলো ধারন ক্ষমতার তিন/চার গুন যাত্রি যাচেছ ঠিক না ।ওভার লোড হচেছ,কিছুটা যাত্রীর চাপের কারনে হচেছ। তবে সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। যাত্রীর চাপ বেশী থাকায় অতিরিক্ত যাত্রী ও যাচেছ,অতিরিক্ত তিনটি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারা পার হচেছ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্যেট না থাকায় জরিমানা করা যাচেছনা। তবে মোবাইল কোটের মাধ্যমে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া লঞ্চকে জরিমানা করবো।