মিজান লিটন ॥
চাঁদপুরে নকল রাবারের ডিম বানিয়ে প্রাকৃতিক ডিমের সাথে মিশিয়ে বাজারে ছড়িয়ে দিয়েছে একটি অসাধু ব্যাবসায়ী চক্র। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শহরের বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোডের সাজ্জাদ জেনারেল ষ্টোর থেকে সাইফুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা ১ ডজন ডিম কিনে বাসায় নেয়। পরে রান্না করতে গেলে সে রান্নার সময় একটি ডিম ভাংতে গেলে কয়েকবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে সেই ডিমটি সাজরে মাটিতে নিক্ষেপ করলে তা রাবার বলের মতো উপড়ে লাফাতে থাকে। তিনি হতবাক হয়ে ঘটনাটি পরিবারের লোকজনদের জানালে সকলেই ডিমটি হাতে নিয়ে অবাক হয়ে যায়। এক পর্যায়ে দা দিয়ে কাটার চেষ্টা করেও তা কাটতে পারেনি। পরে তাদের সন্দেহ হলে ডিমটি নিয়ে দোকানে যায় এবং দোকানদারকে ঘটনাটি জানালে তিনিও ডিমটি হাতে নিয়ে অবাক হয়ে গেলেন। দোকানদার ক্রেতা সাইফুলকে অন্য একটি ডিম দিয়ে বিদায় করে।
এ বিষয়ে সাজ্জাদ ষ্টোরের সত্বাধিকারী গিয়াস উদ্দিন জানান, আমি বিগত কয়েক বছর ধরে মুদি ব্যবসার সাথে জাড়িত। কিন্তু এ ধরনের ডিম আমি কখনো দেখিনি, এই প্রথম দেখেছি।
ডিম কার কাছ থেকে ক্রয় করা হয় জানাতে চাইলে তিনি জানান, শহরের পাল বাজারের ডিম ব্যবসায়ী বাবুলের প্রতিনিধি প্রতিনিয়ত ভ্যানের মাধ্যমে আমাদেরকে ডিম দিয়ে যায়। তার কাছ থেকেই আমরা নিয়মিত ডিম ক্রয় করে থাকি। ৩/৪দিন পূর্বে তার কাছ থেকে ৩শ’ ডিম ক্রয় করেছি। তার মধ্যে থেকে এই প্রথম নকল (রাবারের ডিম) ডিমটি পাওয়া গেলো। বাকি ডিমগুলোর মধ্যে এ ধরনের আরো ডিম আছে কিনা তা বুঝতে পারছিনা। কারন, তারা এমন ভাবে ডিমগুলো তৈরী করেছে যা অন্য ডিমের সাথে মিশালে কোন ভাবেই বুঝা সম্ভব নয়। যা একমাত্র রান্না করতে গেলেই ধরা পরবে যে এটি রাবারের তৈরী।
এ ব্যাপারে পালবাজারের ডিম ব্যবসায়ী বাবুল জানায়, আমি ঘটনাটি জানতে পেরেছি এবং দোকানদারকে ঐ ডিমটি রেখে আরেকটি ডিম দিয়েছি। এ ধরনের ডিম এই প্রথম আমার কাছে আসলো। এগুলো হয়তো খেলার জন্য কেউ তৈরী করেছে। এই ডিমের সাথে কিভাবে আসলো জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি গাজীপুরের কাপাসিয়া কোম্পানী থেকে ডিম ক্রয় করে শহরের বিভিন্ন দোকানে দিয়ে থাকি। এ ব্যাপারে কোম্পানির লোকজনই ভালো বলতে পারবে।
ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ডিমটি দেখার জন্য দোকানে ভিড় জমে যায়। ধারনা করা হচ্ছে বর্তমানে বাজারে ডিমের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় একটি কু-চক্র ব্যবসায়ী মহল এ ধরনের রাবারের ডিম তৈরী করে প্রাকৃতিক ডিমের সাথে মিশিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবাসায়দের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এতে তারা প্রচুর পরিমানের লাভবান হচ্ছে। সাধারন ভোক্তদের দাবী এ কু-চক্র মহলটিকে এখনই চিহ্নিত না করলে দেশ ব্যাপী ছড়িয়ে যাবে এই রাবারের ডিম। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উচিত এদের ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।
শিরোনাম:
সোমবার , ২৯ মে, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ১৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।