চাঁদপুর: চাঁদপুরে আবারও শুরু হয়েছে মেঘনার ভাঙণ। গত সাতদিনে (১৮-২৫ মে) টানা বর্ষণে দেড় শতাধিক পরিবারের বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া তলিয়ে গেছে অনেক আবাদি জমি।
এখনও ভাঙনের ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটে ওই অঞ্চলের শতাধিক পরিবারের।
চাঁদপুর সদর উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৩ নম্বর হানারচর ইউনিয়নের হরিণা ফেরি ঘাট এলাকায় ১৫৩টি পরিবারের ভিটে ছাড়া হয়েছে। নদীর ভাঙন ধীরে ধীরে হওয়ায় অনেকেই তাদের ঘর সরিয়ে নিতে পেরেছে। আবার অনেকে পারেনি। যেটুকু রয়েছে তা আবার ভাঙনের মুখোমুখি ঠাঁয় দাঁড়িয়ে।
নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে নদীর একশ হাত দূরে হাত দেখিয়ে ষার্টোধো কালু মিজি বাংলানিউজকে বলেন, “চার ভাইয়ের ৩৭ শতাংশ জায়গার ওপর বসত ভিটে ছিল। গত কয়েক দিনে চোখের সামনে ভেঙে নিল রাক্ষুসি মেঘনা। ঘরের চাল বেড়া খুলে এখন চান্দ্রা চৌরাস্তা এলাকায় নিয়ে রেখেছি। এখন কি করবো ভেবেই পাচ্ছি না।”
রাসেল নামের এক তরুণ এগিয়ে এসে রাগের সঙ্গে বলেন, “পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দু’বার এসেছেন। বলেছেন একটা ব্যবস্থা করা হবে, কিন্তু এখনো কিছুই হচ্ছে না।”
চাঁদপুর সদর উপজলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনুর শাহীন খান জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। ওই এলাকা রক্ষায় বাঁধের ব্যবস্থা করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জীবন কৃষ্ণ জানান, হরিণা ফেরি ঘাটে ৭শ’ মিটার এলাকা ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আশা করি আর ভাঙবে না।
নদী ভাঙন রক্ষায় প্রকল্প দীর্ঘসময় প্রক্রিয়াধীন না থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ শুর করে দেওয়া প্রয়োজন। নয়তো বিলীন হয়ে যেতে পারে হানারচর ইউনিয়ন। তাই আর নয় আশার বাণী, চাই ভাঙনের দ্রুত সমাধান- এমনটাই চায় ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা।