পিতা-মাতাকে ভরন পোষন না দেওয়ার জন্য
চাঁদপুরে নাটকীয় নিখোঁজ: থানায় জিডি: প্রকৃত ঘটনা ফাঁস
প্রতিনিধি:
চাঁদপুরে জন্ম দাতা পিতা-মাতাকে ভরন পোষন না দেওয়া ও তাদের কাছ থেকে জমি বিক্রি করে টাকা নেওয়ার জন্য নতুন কৌশল অবম্বন করেছেএক পুত্র,তার নাম শরীফ মাহমুদ সুমন। এ অভিনব নাটকটির নাটকীয় রুপ দিয়েছেন সুমনের স্ত্রীসহ তার পরিবারের লোকজন। তারা নিখোঁজের নাটক সাজিয়ে স্বামী সুমনকে শ^শুর বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে পিতা-মাতাকে প্রথমে জানিয়েছে,সুমন মারা গেছে। পরে বিভিন্ন চাপের মুখে লাশ দেখাতে না পেরে জানায়, সুমন বৃহস্পতিবার রাত ২টা থেকে নিখোঁজ রয়েছে। তাকে খুজে পাওয়া যাচেছনা। এ চাঞ্চল্যকর ও প্রতানরা মূলক ঘটনাটি ঘঠেছে,খোদ চাঁদপুর শহরের গুয়াখোলা রোডস্থ আজাদ সদনে। এ ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় নাটকীয় ঘটনা সৃস্টিকারী সুমনের পিতা মো; শাহজাহান পাটওয়ারী ছেলেকে না পেয়ে ১৫জুন দিশেহারা হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি সাধারন ডাইরী করেছে।
চাঁদপুর মডেল থানায় সাধারন ডাইরী করার পর প্রকৃত ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহজাহান পাটওয়ারী পুরানবাজার এলাকার সুতা পট্রিতে একটি দোকানে চাকরী করে। বহু কস্টে তার তিনটি সন্তানকে পড়া শুনা করান। এক মেয়ে প্রবাশে থাকে স্বামীর সংসারে। তার এক মাত্র পুত্র শরীফ মাহমুদ সুমনকে পড়াশুনা করান এবং সোনামী বিস্কুট এর পরিবেশক হিসেবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেন। নগদ টাকা পেয়ে সুমন অন্যের স্ত্রীর প্রতি নজরজায়। সে অন্য পুরুষের সংসার নস্ট করে বিবাহিত মেয়েটিকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে তার স্ত্রী পিতা-মাতার সাথে সারাক্ষন ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে থাকে। যার ফলে সংসারে নেমে আসে অশান্তি। গত দেড় বছর পূর্বে শীতের মধ্যে রাতে পিতা-মাতা,বোন ও দাদীকে বাসা থেকে বেড় করে দেন। ঐ দিন রাতে তারা গুয়াখোলা নিকট আত্বীয়ের বাসায় আশ্রায় নেন। পরে গুয়াখোলা ভিন্ন বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে। এরই মধ্যে সুমন নিজের অসুস্থ্যতার কথা বলে পিতাকে তার বিপনীবাগ দোকানে সন্ধ্যার পর সময় দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। ছেলের প্রতি দরদী হয়ে পিতা পুরানবাজার থেকে চাকরী করে এসে সন্ধ্যা হতে রাত ১২টা পর্যন্ত ছেলের দোকানে শ্রম দিয়ে যাচিছলেন। এতে সুমনের স্ত্রী তা মেনে নিতে নারাজ। তার ভিতরে ডুকে সন্দেহ । সে সুমনের পিতাকে দোকানে না বসানোর জন্য সুমনকে বলে। সুমনের পিতা তা জানতে পেরে দোকানে বসা বন্ধ করে দেয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ সুমন ও তার স্ত্রী সুমনের পিতা-মাতাকে তাদের বাসায় এসে দোকান থেকে কত টাকা এনেছে তার হিসেব দিতে তাদের বাসায় আসতে বল্।ে পিতা মাতা না আসায় রাত আড়াই টায় ফোন করে সুমনের স্ত্রী পিতা মাতাকে জানায়, সুমন মারা গেছে। তাকে দেখতে আসেন এবং কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। তারা সেখানে গিয়ে দেখে সুমন মারা যায়নি। তার স্ত্রী তখন জানান, সুমন রাতে বাসা থেকে বের হয়ে গেছে। তাকে পাওয়া যাচেছনা। সে অনেক টাকা ঋন গ্রস্ত হয়ে পরেছে। ব্যাংক থেকে ও লোনের টাকার জন্য চাপ দেওয়া হচেছ। তাকে আপনারা খুজে বেড় করেন এবং আমার তিন সন্তানের জন্য কি করবেন,বলে শুধু কান্না করতে থাকে। সুমনের পিতা ছেলের প্রকৃত সন্ধ্যান না পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় সাধারন ডাইরী করের ছেলের ছবি দিয়ে। এরই মধ্যে ৭দিন অতিবাহিত হলেও সুমনকে তার পিতা ্এখন খুজে পাচেছনা বলে জানান।