চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী ফজু মিয়া চাঁদপুরে নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত ৪দিনেও তার কোন সন্ধান বা খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে, তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। গত বুধবার (৩০ডিসেম্বর) ভোরে ফজু মিয়া চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিণা ফেরীঘাট এলাকা থেকে নিখোজ হয়। তার নিখোঁজে পরিবারটি হতবাক ও দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তারা তাকে না পেয়ে হতাশার মধ্যে রয়েছে। এব্যাপার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।
চাঁদপুর মডেল থানর জিডি ও ফজু মিয়ার চাচাতো ভাই আঃ মালেক এর সাথে যোগাযোগ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের বড় মানের ব্যবসায়ী ফজুমিয়া (৬০)। সে চট্টগ্রাম সিটির বাইজিদ উপজেলার শহীদ নগর এলাকার বাসিন্দা, আলী মিয়ার ছেলে। সে জীবনের প্রথম থেকে চট্টগ্রামে গরুর আড়ৎদার হিসেবে ব্যবসা করে যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু ক্রয় করে এনে চট্টগ্রাম সিটির বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করত। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে ফজু মিয়া গরু ক্রয় করতে যান সাতক্ষিরা বর্ডার এলাকায়। সেখান থেকে গরু বোঝাই করে ট্রাকসহ চট্টগ্রাম যাচ্ছিল। পথিমধ্যে গত ৩০ ডিসেম্বর হরিণা ফেরীঘাট এলাকায় ট্রাক থেকে নামে হরিণা ফেরীঘাটে নামাজ পড়ার জন্য। ভোর সাড়ে ৬ টায় ফজু মিয়া সেখান থেকে নিখোঁজ হয়। তার পরিবারের লোকজন তাকে শরীয়তপুর আলুর বাজার, হরিণা ফেরীঘাট, সখিপুর চাঁদপুর সদরের বিভিন্ন স্থানে ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোজাখুজির পর তার কোন সন্ধ্যান এ পর্যন্ত পায়নি। গতকাল শুক্রবার পহেলা জানুয়ারি ফজু মিয়ার চাচাতো ভাই আবদুল মালেক চাঁদপুর এসে খোজ খবর নিয়ে তাকে না পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। মডেল থানার সাধারণ ডায়েরী নং ১৩, তারিখ : ০১/০১/২০১৬। নিখোজের সময় ফজুমিয়ার শরীরে সাদা পাঞ্জাবী, লুঙ্গি ও গলায় একটি গামছা ছিল। তার মাথার চুল সাদা পাকা ও মুখে সাদা দাড়ি রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তার সাথে থাকা নগদ অর্থ দুর্বৃত্তচক্র ছিনিয়ে নিয়ে তাকে আটক করে রেখেছে অথবা অন্যকোন ঘটনা ঘটিয়েছে। ফজু মিয়ার ২ ছেলে ৪ মেয়ে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।