মিজান লিটন ॥
চাঁদপুরের মেঘনা নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় এতে প্রবল স্রোতের সৃস্টি হয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে তীব্র নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাংগনের কবলে ইতিমধ্যে লগ্মিমারা কুদ্দুস বেপারি জামে মসজিদসহ শাতাধিক পরিবার বসত ভিটাহীন হয়ে গেছে। ইউনিয়নের লগ্মিমারা, বরিয়ারচর, গোয়ালনগর, মান্দেরবাজার এলাকা সহ বেশ কয়েকটি অংশ ভেঙ্গে যায়। ঘরবাড়ি হারানো পরিবারগুলো রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের ৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১টি হাই স্কুল ও ১টি মাদ্রাসায় আশ্রয় নিয়েছে। রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হযরত আলী বেপারী জানান, ওই এলাকার নদীর তীরবর্তি বাকী অংশগুলোও ভাঙ্গনের আংশাকা রয়েছে তাই আমরা ঘর বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছি। আমরা ঘর বাড়ী ভাঙ্গনের শিকারকৃত আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছি। তাদের যতটুকু সহযোগিতা তা করার জন্য চেস্টা করব।
এঘটনায় ভাঙ্গনকৃত ও ভাঙ্গনের আশংকাকৃত এলাকাগুলোতে পরিদর্শন করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা কানিজা ফাতেমা। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাথে কথা বলেন ও খোজখবর নেয়। ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে ভাঙ্গনের আশংকাকৃত এলাকাগুলো মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নির্দেশ দেয়।
এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের উদ্দেশ্য বলেন মাননীয় সংসদ সদস্য ডা. দীপু মনি ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল বিষয়টি জেনে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং তারা বলেন- চাঁদপুরে বন্যা পরিস্থিতি ও ভাঙ্গণ মোকাবেলার জন্য যতটুকু সহযোগিতা প্রয়োজন আমরা তা করবো।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা ভাঙ্গণে কবলিত মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। ত্রাণ বিতরনের মধ্যে ছিল- শুকনো খাবার, প্রাথমিক চিকিৎসা ঔষধ পত্র।
হঠাৎ উত্তরাঞ্চলের বন্যার পানি পদ্মা ও মেঘনা দিয়ে নেমে আসায় নদীতে প্রবল ¯্রােত দেখা দেয়। যার ফলে চাঁদপুর রাজরাজেস্বর ইউনিয়নে এ ভাঙগনের সৃষ্টি হয়।