চাঁদপুরে পরকিয়ার টানে প্রবাসী স্বামীর নগদ ১৫লক্ষ টাকা, ১০ভরি স্বর্ণালংকারসহ গৃহবধু সানিতা (৩০) বাসুরের ছেলের সাথে উধাও হয়ে যায়। ২০১৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর এই ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে প্রবাসী মো. জসিম উদ্দিন মিয়াজীর ভাতিজা মো. মাহবুব (২৫) কে সানিতাসহ শহরের প্রফেসর পাড়া ভাড়াটিয়া বাসা থেকে চাঁদপুর মডেল থানার এ.এস.আই আমিনুল আটক করে। বুধবার সকালে পুলিশ তাদেরকে কোর্টে প্রেরণ করেছে। আটকের সময় সানিতার সাথে তার ১১মাস বয়সী জাবের নামে একটি পুত্র সন্তান ছিলো।
পুলিশ জানায়, ২০০৪ সালে চাঁদপুর পুরাণ বাজার পূর্ব জাফরাবাদ আব্দুল ওয়াহেদ মিয়াজীর ছেলে জসিম উদ্দিন মিয়াজীর সাথে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়ালপুর গ্রামের মো. মজিবুল হকের মেয়ে সানিতার বিয়ে হয়। ২০১২ সালে জসিম একেবারে দেশে চলে আসে। এরই মধ্যে জসিমের আপন ভাতিজা মাহবুবের সাথে তার স্ত্রী সানিতার অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। জসিম দেশে আসার পর তার স্ত্রী তার সাথে খারাপ ব্যবহার এবং তার সামিয়া আক্তার নামে ১০বছর বয়সী কন্যা সন্তানের উপর অতিমাত্রায় নির্যাতন চালায় স্ত্রী সানিতা। পাষন্ড মা পরকিয়ায় অন্ধ হয়ে তার মেয়ে সামিয়াকে আগুন দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জলসে দেয়। এক পর্যায়ে গত অক্টোবর মাসে মাহবুবকে নিয়ে সানিতা পালিয়ে যায়।
প্রবাসী জসিম উদ্দিন জানায়, তার স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার সময় ১০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। এই ঘটনার তার শ্বশুর ফরিদগঞ্জ থানায় তার মেয়ের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরী করে। এলাকাবাসি সুত্রে জানাযায়, পুরান বাজার পুর্ব জাফরাবাদ হাফেজিয়া মাদ্রাসার পিছনে মিয়াজী বাড়ীর হারুন মিয়াজীর ছেলে মো. এাহবুব মিয়াজি মাদ্রাসায় পড়াশুনা করা অবস্থায় জামায়াত শিবিরের সকল কর্মকান্ডে সক্রিয় ভাবে কাজ করতো। সরকার বিরোধী সকল ধরনের নাশকতায় সে পুরানবাজার থেকে গোপনে নেতৃত্ব দিতো বলে জানাযায়। চাচির সাথে অবৈধ সম্পের্কেও ঘটনা সবাই জানলেও তার ভয়ে কেউ মুখ খোলেনি। কারন সে শিবিরের ক্যাডার হিসেবে এলাকায় পরিচিত। প্রফেসার পাড়ার ভাড়া বাসার মালিক জানায় মাহাবুব ৩ দিন পুর্বে স্ত্রী সন্তান পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নেয়। দিনে বাসায় না আসলেও প্রতিদিন রাতে সে বাসায় রাত্রি যাপন করতো। বাসা ভাড়া নেওয়ার সময় স্ত্রীকে রেখে বিদেশ চলে যাবে বলে জানায়। কিন্তু পুলিশ খবর পেয়ে তাকে আটকের পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে। এদিকে আটকৃতদের ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য একটি দালাল চক্র আইনের ধারা দুর্বল করে দিবে বলে পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে উভয় পক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকে টাকা হাতিয়ে নেয়। আবার কেউ আত্মিয় পরিচয় দিয়ে পুলিশের কাছে তদবির করতে দেখা যায়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে চাঁদপুর মডেল থানার এ.এস.আই আমিনুল জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাহবুব ও সানিতাকে শিশু সন্তানসহ আটক করি। তাদেরকে কোর্টে চালান দেয়া হয়েছে। পরে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।