চাঁদপুরে একজন পল্লি চিকিৎসকের স্ত্রী আকলিমা বেগমকে জনৈক খোকন প্রধানিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ ইভটিজিং করে যাচ্ছিল। এর প্রতিবাদে পল্লি চিকিৎসক মোঃ ইব্রাহিম খান (৩৬) ইভটিজার খোকনের বিরুদ্ধে থানায় জিডি ও আদালতে মামলা করায় একদল সন্ত্রাসী কর্তৃক তাকে পিটিয়ে ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে ইব্রাহিম চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত অনুমান ৯ টায় শহরের বড়স্টেশন সড়কে। এ ব্যাপারে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অভিযোগ থেকে জানাযায়, শহরের বড়স্টেশন যমুনা রোড এলাকায় মৃত তৈয়ব আলী খানের ছেলে মোঃ ইব্রাহিম খান (৩৬) দীর্ঘদিন যাবৎ পল্লি চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে এলাকায়। সম্প্রতি ঐ এলাকার ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ শামছুল হক প্রধানীয়ার পুত্র খোকন প্রধানীয়া পল্লি চিকিৎসক ইব্রাহিমের স্ত্রীকে সরাসরী এবং মোবাইলে ইভটিজিং করে উত্যক্ত করে যাচ্ছিল। এ ঘটনার প্রতিবাদে ইব্রাহিম খোকন প্রধানীয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে চাঁদপুর মডেল থানা গত ৩০ জুলাই একটি সাধারণ ডায়েরী করে। এতে খোকন প্রধানীয় তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি ও তার স্ত্রীকে বিভিন্ন ভয়ভিতি দেখিয়ে এলাকা থেকে চলে যাওয়ার উপক্রম করে। এক পর্যায়ে ইব্রাহিমের স্ত্রী আকলিমা বেগম (৩৭) ইভটিজারের বিচার না পেয়ে তার স্বামীকে ফেলে রেখে এলাকা থেকে বাপের বাড়ি চলে যায়। পল্লি চিকিৎসক ইব্রাহিম গত ১ আগস্ট শামছুল প্রধানীয়ার ছেলে খোকন প্রধানীয়ার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা চলিত অবস্থায়, খোকন প্রধানীয়া ইব্রাহিমকে ভয়ভিতি ও জীবন নাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনার আলোকে গত শুক্রবার ১৪ আগস্ট স্থানীয় কাউন্সিলর শাহ্ আলম বেপারী, পল্লি চিকিৎসক জুয়েল, হানিফ বেপারী ও মাইনুদ্দিন মিজি সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ এক শালীস বৈঠকে বসে খোকন প্রধানীয়াকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও পল্লি চিকিৎসক ইব্রাহিমের কাছে ক্ষমা প্রাথনার রায় ঘোষনা করে বলে ইব্রাহিম জানায়। এরই জের ধরে গতকাল সোমবার পল্লি চিকিৎসক ইব্রাহিম খান শহরের বকুলতলা থেকে রিক্সা যোগে যমুনা রোড যাওয়ার সময় বড়স্টেশন সড়কের পদ্মা ওয়েল কোম্পানির ডিপোর সামনে ইব্রাহিমের রিক্সার গতিরোধ করে খোকন প্রধানীয়ার নেতৃত্বে ৪ জন যুবক তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ইব্রাহিমের মাথা, হাত, পা’ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তাৎক্ষনিক তার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসী চক্র পালিয়ে যায়। স্থানীয় ব্যবসায়ী হারুন বিশ্বাসসহ এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে দ্রুত চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে মুমুর্ষু অবস্থায় ভর্তি করে।