স্টাফ রিপোর্টার: চাঁদপুর মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ইলিশ নিধন থেমে নেই। প্রতিদিন একশ্রেণীর দুষ্কৃতিকারী জেলে বিপুল পরিমাণ জাটকা ধরছে। সেই জাটকা নদীর পাড়ে প্লাস্টিকের ড্রাম ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করা হচ্ছে।
এমনই জাটকার বড় একটি চালান পাচার করার সময় চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নং লক্ষ্মীপুর
ইউনিয়নের দোকান ঘর এলাকা থেকে জব্দ করে পুরানবাজার ফাঁড়ি পুলিশ।
শুক্রবার ভোরে গোপন সংবাদ পেয়ে পাশের দোকানঘর এলাকা থেকে পিকআপটি ধরা হয়।তাতে ১১ টি কাটা ব্যারেল ভর্তি জাটকা ছিল।
এই ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুর রশিদ সাংবাদিকদের
জানান, নদী থেকে জাটকা শিকার করে সড়কপথে রাজধানী ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে- এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুরাণবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে পিকআপটি আটক করে। পরে জব্দ হওয়া ১৫০০ কেজি জাটকা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের অনুমতি নিয়ে দরিদ্র ও অসহায় ব্যক্তি এবং বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
এর আগেও বহরিয়া এলাকা থেকে আরেকটি পিকআপে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান জাটকা জব্দ করা হয়।
এ দিকে পুরাণবাজার হরিসভা রনাগোয়াল এলাকায় জাটকা নিধনের পর জাটকা প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে প্রতিদিনই।এমন তথ্য জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
অন্যদিকে জাটকা সংরক্ষণ জেলা টাস্কফোর্সের অপর অভিযানে সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর এলাকার পদ্মা নদীতে জাটকা শিকারের সময় তিন জেলেকে আটক করা হয়। এ সময় মাছ ধরার দুটি নৌকা এবং বিপুল পরিমাণ জাল জব্দ করা হয়েছে। অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা জানান, জাটকা নিধন বিরোধী এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এই অভিযানে অংশ নেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী, নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল হক।
এ সময় অভিযানকারীদের ধাওয়ায় কয়েক শ মাছ ধরার নৌকা নিয়ে জেলেরা মূল নদীর পাশের খালে গিয়ে আশ্রয় নেন।
চাঁদপুরনিউজ/এমএমএ/