চাঁদপুর: চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের একটি পুকুরে ধরা পড়লো বিরল প্রজাতির একটি মাছ! (যার ইংরেজী নাম হচ্ছে সাকার ফিশ) যা নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যে সৃষ্টি হলে বিভিন্ন স্থান থেকে শত-শত মানুষ মাছটি দেখার জন্য এসে ভিড় জমায়। ঘটনাস্থল ওই উনিয়নের খেরুদিয়া গ্রামে প্রয়াত জগত চন্দন লোধের বাড়ি।
এ মাছটি আবিস্কার করেন, সোমবার বিকেলে প্রয়াত জগত চন্দন লোধের বাড়ির পুকুর থেকে এক কিশোর লিমার কুমার লোধ (১১)। মাছটির ওজন দেওয়ার পর দেখা যায় ওজন মাত্র৩শ’গ্রাম।
কিশোর লিমার কুমার লোধ জানান, প্রথমে সে মাছটি ধরতে ভয়পায়। সে মনে করেছে এটি কালি বাউশ মাছ। পরে দেখে না এটি একটি কালো রংয়ের ভিন্ন আকৃতির। তারিও সাহস করে ধরে দেখে মাছটি অনেক শক্ত কাটা ওয়ালা। তার সে মাছটিকে বাড়িতে নিয়ে আসে।
চাঁদপুর মৎস্য অফিসের একাধিক কর্মকর্তার সাথে আলাপ করলে এ ধরনের মাছ সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই বলে তারা জানান। এ মাছ তারা কখনও দেখেনি ও তার নাম সম্পর্কে তারা অবগত নয় বলে জানান।
অনেক প্রবাসী বলেছে, মাছটির নাম ক্যাটফিস। আবার অনেকে বলেছে, এটির বৈজ্ঞানিক নাম ঐুঢ়ড়ংঃড়সঁং ঢ়ষবপড়ংঃড়সঁং সাধারণত পুকুর, খাল, বিলে এসব মাছের বসবাস।
দক্ষিণ আফ্রিকার ও এশিয়ার কয়েকটি দেশে এ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। এটি লম্বায় ৫০ সেন্টিমিটার মত হয়ে থাকে। এই প্রজাতির মাছ একুরিয়ামেও জীবিত থাকে এবং অনেকে এ প্রজাতির মাছ একুরিয়ামে শোভা পেতে দেখেছেন ।
চাঁদপুরের ইলিশ গবেষক মূখ্য বৈজ্ঞানীক কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, এ মাছটির ইংরেজী নাম সাকার ফিশ নামে পরিচিত।
প্রয়াত জগত চন্দন লোধের বাড়ির বাসিন্দা এক জন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দিলীপ কুমার লোধ জানান, সোমবার দুপুরে আমাদের বাড়ির বড় আকারের একটি পুকুর সেচ করা হয়েছিল। মাছ ধরা শেষে ওই পুকুরে এ মাছটি পেয়েছে,এ বাড়ির লিমার কুমার লোধ (১১)। মারাত্বক শক্ত কাটাযুক্ত বিরল প্রজাতির এ মাছটি পেয়ে সে স্থানীয়দের মাছটি দেখালে কেউ মাছটির নাম বলতে পারেনি। মাছটি দেখতে আসতে আসতে কয়েকশ’ লোক তার বাড়িতে এসে ভিড় জমায়।
দিলীপ আরও জানান, সন্ধ্যায় তিনি মাছটি একটি বালতিতে রেখে দেন। বর্তমানে আমার ভাতিজা-ভাতিজি এ মাছটি লালন-পালন করছে। মাছটি খাদ্য হিসেবে ভাত খায় ও ফেনদিয়ে কুড়া গুলে দিলেও খেতে দেখা যায় ।
চাঁদপুরনিউজ/এমএমএ/সংবাদদাতা/