মিজান লিটন : হরতালের দ্বিতীয় দিন সোমবার চাঁদপুর শহরের পুরানবাজারে বিএনপি-আওয়ামী লীগের দফায় দফায় সংঘর্ষে আরজু (১৬) নামে এক ছাত্রদল কর্মী ফের পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে। গুলিবিদ্ধ হাকিম (২২) নামে বিএনপির এক কর্মী সরকারি জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুর সময় গুনছে। তার বাড়ি শহরের ষোলঘর এলাকায়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অর্ধশত নেতাকর্মী। এ নিয়ে গত চারদিনে চাঁদপুরে পুলিশের গুলিতে ৪ যুবদল ও ছাত্রদল কর্মী প্রাণ হারালো।পুলিশ জানায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা টিয়ারসেল, রাবার বুলেট ও শটগানের গুলি ছোড়ে । এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ২০/২৫টি ককটেল নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধরা। আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে। ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় দুপুর ১টায় উপজেলা প্রশাসন চাঁদপুর শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় ।এ দিকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে হাজীগঞ্জে মিছিল সমাবেশ করেছে হরতাল সমর্থকরা। পিকেটাররা হাজীগঞ্জ রেল স্টেশন এলাকায় চাঁদপুর-লাকসাম লাইনে আগুণ দিয়েছে। প্রায় অর্ধ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রেল লাইনে আগুন দেয়া হয়। পরে পুলিশ গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।এছাড়া চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে অর্ধশত ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় হরতাল সমর্থকরা। চাঁদপুর শহরে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন খণ্ড খণ্ড মিছিল করে। সকালে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্নস্থানে পিকেটিং করেছে হরতাল সমর্থকরা। মঠখোলা, বাবুরহাট, ঘোষেরহাট, বাগাদীতে হরতাল সমর্থকরা টায়ারে আগুন জ্বেলে অবরোধ সৃষ্টি করে। বিভিন্নস্থানে গাছের গুড়ি ফেলে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।চাঁদপুরের পুলিশ সুপার আমির জাফর জানান, জেলা বিভিন্ন স্থান থেকে পিকেটিংকালে ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।উল্লেখ্য গত ২৫ অক্টোবর চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বিএনপির গণমিছিলে পুলিশের অতর্কিত গুলিবর্ষণে ৩ যুবদল কর্মী মারা যায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।