অভিজিত রায় ॥
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শরৎকালের শারদীয়া দুর্গা পূজা। প্রতি বছর শরৎ ঋতুতে হিন্দু সম্প্রদায়ের এ বৃহৎ ধর্মীয় উৎসবটি হয়ে থাকে। সে জন্য এ উৎসবকে শারদীয় দুর্গা উৎসব বলা হয়ে থাকে। পাপির বিণাশ আর সৃষ্টির পালনের লক্ষ্যেই বহুকাল ধরে এ শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হযে আসছে। গত ১৮ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া শারদীয় দুর্গা উৎসব গত বছরের মতো এবছরেও ৪ দিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশুদ্ধ পঞ্জিকার তিথি পরিবর্তনের কারনে আজ বৃহস্পতিবার একই দিনে নবমী ও দশমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর চাঁদপুর সদর উপজেলার ২৮ টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বুধবার ছিলো শারদীয় দুর্গা উৎসবের মহা অষ্টমী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল থেকেই চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি মন্দির, রাম কৃষ্ণ আশ্রম, পালপাড়া শীতলা মন্দীর, গোপাল জিউর আখড়া, পুরান বাজার হরিসভা মন্দীর, ঘোষ পাড়া দুর্গা মন্ডপ, নিতাইগঞ্জ দুর্গা মন্ডপ, পুরান বাজার বারোয়ারী মন্দীর, দাস পাড়া দুর্গা মন্ডপ,নতুন বাজার ঘোষপাড়া দুর্গা মন্ডপ, গুয়াখোলা কুন্ডের বাড়ি দুর্গা মন্ডপ, বাবুরহাট রমেশ দের বাড়ির দুর্গা মন্ডপ,কুলদা চরণ দের বাড়ির দুর্গা মন্ডপ সহ প্রতিটি পূজা মন্ডপে নারী পুরুষ আবাল বৃদ্ধা, বনিতা তরুণ তরুণী ও শিশু কিশোর সহ সব বয়সের ভক্তের সমাগম ছিলো দৃষ্টি নন্দিত। ভক্তগন সকাল থেকেই পূজা মন্ডপগুলোতে মায়ের চরণে অঞ্জলী নেওয়ার জন্য ও পূজা দেওয়ার জন্য ছুটে আসে। সকল মন্ডপেই ছিলো ভক্তের উপচে পরা ভীড়।
তাছাড়া বিকাল হতেই চাঁদপুর জেলার ৮ টি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকেই হাজারো হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ চাঁদপুর শহরের পূজা মন্ডপগুলোতে পূজা উপভোগ করতে ছুটে আসতে থাকে। গভির রাত পর্যন্ত তারা বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ঘুরে আনন্দ উপভোগ করে। বিকাল ৩ টা থেকেই দুরের অনেকেই অটোবাইক, সিএনজি স্কুটার ও মাইক্রোবাস রিজাভ ভাড়া করে চাঁদপুর শহরের পূজা দেখতে ছুটে আসে। পূজা মন্ডপ কমিটি তাদের মন্ডপগুলো নানাভাবে সাজিয়েছে। পূজা মন্ডপগলোতে দর্শনার্থিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। প্রশাসানিকভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অধিকাংশ পূজা মন্ডপেই উচ্চ স্মরে ধর্মীয় গান বাাজানো হচ্ছে। আজ ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার শারদীয় দুর্গা উৎসবের নবমী ও দশমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ২৪ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রা শেষে শহরের মুখার্জিঘাট এলাকার ডাকাতিয়া নদিতে বিসর্জন দেওয়া হবে।